পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট (পিআরআই)-এর আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক চুক্তির ক্ষেত্রে প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছে। তবে, কিছু অর্থনৈতিক সংস্কারের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) পিআরআই আয়োজিত এই আলোচনা সভায় বক্তারা জানান, গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৯২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় কম হয়েছে, যার ফলে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে সরকারের ব্যয়ের সক্ষমতা কমছে এবং বৈষম্য বাড়ছে। তবে, প্রবাসী আয় এবং রপ্তানি সূচকে কিছু শক্তি দেখছে দেশ, যা অর্থনীতির স্থিতিশীলতায় সহায়ক হচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান তার বক্তব্যে বলেন, ‘এনজিও ও করপোরেট পলিসি দিয়ে সরকার চালানো যায় না’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন করে ডলারের বিপরীতে টাকার মান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অবাক করার মতো ছিল। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক হস্তক্ষেপ করে আবার ডলারের দাম বাড়িয়েছে, যা একটি আমদানি নির্ভর দেশের জন্য অস্বাভাবিক।’
পিআরআইয়ের মুখ্য অর্থনীতিবিদ আশিকুর রহমান মন্তব্য করেন, ‘মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ পরিস্থিতি বা এক্সচেঞ্জ রেটের দিক থেকে আগের চেয়ে স্থিতিশীলতা অর্জিত হয়েছে। অর্থাৎ, পেইনফুল রিফর্মের পর সেগুলোর একটি পজিটিভ ডিভিডেন্ড পাওয়া যাচ্ছে।’
শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য সামাজিক খাতে সরকারের ব্যয় কমে যাওয়ার ফলে দেশের অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছে, যা দারিদ্র বিমোচনের গতি কমিয়ে দিচ্ছে বলে আলোচকরা মন্তব্য করেন। তবে, তারা আশা প্রকাশ করেন যে অর্থনৈতিক সংস্কারের ফলে ভবিষ্যতে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাবে।
পিআরআইয়ের এই আলোচনায় সমন্বয়হীনতার কারণে গত অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন হার ৫ দশকের সর্বনিম্নে পৌঁছেছে বলে বক্তারা জানিয়ে দেন।