প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান সংস্থা ইউনেস্কো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। হোয়াইট হাউস মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানায়, ইউনেস্কো “ওয়োক ও বিভাজনমূলক” সংস্কৃতি ও সামাজিক বিষয়াদিকে সমর্থন করে, যা সাধারণ আমেরিকানদের মতাদর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপটি তার আগের মেয়াদের সিদ্ধান্তেরই পুনরাবৃত্তি, যা পরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাতিল করেছিলেন। প্যারিসভিত্তিক এই সংস্থাটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠিত হয়েছিল। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আনা কেলি বলেন, “আমেরিকান জনগণ যে সাধারণনৈতিক নীতিগুলোতে বিশ্বাস করে, ইউনেস্কোর কর্মকাণ্ড তা থেকে অনেক দূরে।”
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর অভিযোগ করেছে, ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক উন্নয়নের নামে এক ধরনের “গ্লোবালিস্ট ও মতাদর্শভিত্তিক” এজেন্ডা চালাচ্ছে, যা ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিশেষ করে সংস্থাটির ফিলিস্তিনকে সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে গ্রহণ করা মার্কিন নীতির পরিপন্থী এবং এতে ইসরায়েলবিরোধী বক্তব্যের প্রসার ঘটেছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজুলে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে দুঃখ প্রকাশ করলেও জানান, এটি প্রত্যাশিত ছিল এবং ইউনেস্কো ইতিমধ্যে এর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এক্স (সাবেক টুইটার)–এ এক পোস্টে ইউনেস্কোর প্রতি “অটল সমর্থন” জানান এবং বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত ফ্রান্সের প্রতিশ্রুতিকে দুর্বল করতে পারবে না।
ইউনেস্কো কর্মকর্তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ সংস্থার কিছু প্রকল্পে সীমিত প্রভাব ফেলবে। সংস্থাটির বাজেটে যুক্তরাষ্ট্রের অবদান বর্তমানে মাত্র ৮ শতাংশ। উল্লেখ্য, ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি এবং জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ থেকেও যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেছিলেন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি আবার এসব সিদ্ধান্ত পুনর্বহাল করছেন। সূত্র : রয়টার্স