ওবামার বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগ তুললেন ট্রাম্প

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৩ জুলাই ২০২৫, ১৩:৫৮


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগ তুলেছেন। তিনি কোনো প্রমাণ ছাড়াই ওবামাকে রাশিয়ার সঙ্গে আঁতাত করার এবং ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার নির্বাচনী ক্যাম্পেইন বানচালের চেষ্টা করার অভিযোগ এনেছেন।
ওবামার এক মুখপাত্র ট্রাম্পের এই দাবি নাকচ করে বলেছেন, ‘এই আজগুবি অভিযোগগুলো হাস্যকর এবং মনোযোগ সরাতে একটি দুর্বল প্রচেষ্টা।’
যদিও ট্রাম্প এর আগেও বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যে ওবামাকে আক্রমণ করেছেন, তবে জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম তিনি এতটা সরাসরি ওবামার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধমূলক অভিযোগ তুললেন।
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প তার গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এই অভিযোগ তোলেন। গত শুক্রবার গ্যাবার্ড হুমকি দিয়েছিলেন যে, তিনি ওবামা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ২০১৬ সালের নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্য যাচাইয়ের জন্য বিচার বিভাগের কাছে পাঠাবেন।
তিনি কিছু নথি প্রকাশ করে দাবি করেন, ২০১৬ সালে শীর্ষস্থানীয় ওবামা প্রশাসন কর্মকর্তারা ট্রাম্পকে দুর্বল করতে একটি ‘রাষ্ট্রদ্রোহমূলক ষড়যন্ত্রে’ লিপ্ত ছিলেন। ডেমোক্র্যাটরা এ অভিযোগকে মিথ্যা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘সবকিছু স্পষ্ট—সে (ওবামা) দোষী। এটি ছিল রাষ্ট্রদ্রোহ। তারা নির্বাচনে কারচুপি করতে চেয়েছিল, তারা নির্বাচনকে ধোঁয়াশায় ফেলতে চেয়েছিল। তারা এমন কিছু করেছে, যা কেউ কল্পনাও করেনি—এমনকি অন্যান্য দেশেও না।’
তবে তিনি তার দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যে বলা হয়েছিল, রাশিয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য, হ্যাকিং এবং রুশ বট ফার্ম ব্যবহার করে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের প্রচারাভিযানকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে এবং ট্রাম্পকে সহায়তা করতে চেয়েছিল। তবে এই প্রচেষ্টার প্রকৃত প্রভাব ছিল সীমিত এবং এর ফলে ভোটের ফলাফলে কোনো ধরনের পরিবর্তন হয়েছিল—এ জাতীয় কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
২০২০ সালে সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির একটি দ্বিদলীয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, রিপাবলিকান রাজনীতিক পল ম্যানাফোর্ট, উইকিলিকস ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করে ট্রাম্পের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে সহায়তা করতে চেয়েছিল রাশিয়া।
ওবামার মুখপাত্র প্যাট্রিক রোডেনবুশ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গত সপ্তাহে (গ্যাবার্ডের) প্রকাশিত নথিতে এমন কিছু নেই যা প্রমাণ করে যে রাশিয়া ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু তারা সরাসরি ভোট জালিয়াতি করতে পারেনি।’