আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপির মধ্যে বাদ পড়েছেন ৭২ জন। এর মধ্যে তিনজন প্রতিমন্ত্রীও রয়েছেন। শরিকদের আসনেও প্রার্থী ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন দলটি। তবে এসব আসনের প্রার্থী চূড়ান্তভাবে দলীয় প্রতীক পাবেন কিনা- এখনও নিশ্চিত নয়।
জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে রোববার ২৯৮টিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। দলীয় সূত্র জানায়, বর্তমান সংসদ সদস্যদের একেকজন একেক কারণে বাদ পড়েছেন। এর মধ্যে কারও বয়স বেড়ে গেছে; কেউ এলাকায় নিষ্ক্রিয়; আবার কেউ সমালোচিত। ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্যে ১০৫টি আসনে এসেছে নতুন মুখ।
বাদ পড়া প্রতিমন্ত্রীরা হলেন- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং চট্টগ্রাম-১ আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। সাবেক এ মন্ত্রী বয়সজনিত কারণে নিজেই এবার ছেলের জন্য মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন পেয়েছেন তাঁরই পুত্র মাহবুবুর রহমান।
চাঁদপুর-১ আসনের বর্তমান এমপি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মহীউদ্দীন খান আলমগীরও বাদ পড়েছেন। ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারিতে তাঁর নাম এসেছে একাধিকবার। তাঁর আসনে নতুন মুখ হিসেবে এসেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।
নওগাঁ-৪ আসনে বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা মুহাম্মদ ইমাজ উদ্দীন প্রামাণিক নিজের পুত্রের জন্য মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু সে চেষ্টা সফল হয়নি। এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছন নতুন মুখ নাহিদ মোর্শেদ।
নানা কারণে আলোচনায় ছিলেন ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এ মন্ত্রীর আসনে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামীম হক। এ ছাড়া মোশাররফের জামাতা হাবিবে মিল্লাত এমপিও বাদ পড়েছেন। রাজনৈতিক ময়দানে দু’জনই পরিচিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের আত্মীয় হিসেবে। হাবিবে মিল্লাতের সিরাজগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জান্নাত আরা হেনরী।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সমালোচিত হন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। তাঁর নির্বাচনী এলাকা কুড়িগ্রাম-৪ আসনে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য বিপ্লব হাসান। নির্বাচনী এলাকায় তিনি সম্পূর্ণ নতুন মুখ।
চিত্রনায়িকার সঙ্গে বিতর্কিত ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। তাঁর বদলে জামালপুর-৪ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। তাঁর বাবা আবদুল মালেক একসময় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
সুনামগঞ্জ-২ আসনে (দিরাই ও শাল্লা) মনোনয়ন পেয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের ছোট ভাই চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মাহমুদ। আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত দীর্ঘকাল এ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর আসনটিতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর স্ত্রী জয়া সেনগুপ্তা।
বরিশাল-৪ আসনের এমপি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ নাথ দলীয় নেতাকর্মীর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে দলীয় পদ হারিয়েছিলেন। এবার বাদ পড়েছেন মনোনয়ন তালিকা থেকেও। এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ।
ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন ব্যবসায়ী শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। তিনি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি। এখানে নতুন মুখ এসেছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ।
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক ও কিশোরগঞ্জ-২ আসনের এমপি নূর মোহাম্মদও দলীয় মনোনয়ন পাননি। স্থানীয়ভাবে দলীয় কোন্দলে জড়িয়েছিলেন তিনি। সেখানে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন পুলিশের আরেক সাবেক কর্মকর্তা আবদুল কাহার আকন্দ। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, একুশ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলা, বিডিআর বিদ্রোহসহ চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন।
মাগুরা-১ আসনের বর্তমান এমপি সাইফুজ্জামান শিখর প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সহকারী একান্ত সচিব। তাঁর বাবা চারবার সংসদ সদস্য ছিলেন। এবার সেখানে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
মানিকগঞ্জ-১ আসনের এমপি জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়ও দলীয় মনোনয়ন হারিয়েছেন। এখানে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম।
রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবাসন ব্যবসায়ী এনামুল হক নানা কারণে আলোচনায় আসেন। ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রেরও ব্যবসা আছে তাঁর। তিনিও বাদ পড়েছেন। এখানে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা প্রয়াত এইচটি ইমামের ছেলে তানভীর ইমামও বাদ পড়েছেন। তাঁর নির্বাচনী এলাকা সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে নৌকা পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম। তিনি উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন; সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন।
নানা কারণে সমালোচিত হয়েছেন খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। এখানে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।
বরগুনা-২ আসনের বিতর্কিত সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমানের (রিমন) পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য সুলতানা নাদিরা। নেত্রকোনা-৫ আসনের এমপি ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল সম্প্রতি সমালোচিত হন তাঁর স্ত্রীর করা এক মামলার কারণে। এ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনকে।
মোহাম্মদপুর এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৩ আসনের এমপি মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা সাদেক খানকে সরিয়ে এ আসনের পুরোনো সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানককে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
হাওর দখল ও দুর্নীতির জন্য সমালোচিত হন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন (রতন)। তাঁকে সরিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রণজিৎ চন্দ্র সরকারকে।
সরকারি জমি দখলসহ নানা অভিযোগে বিতর্কিত ছিলেন কুমিল্লা-১ আসনের সংসদ সদস্য সুবিদ আলী ভূঁইয়া। এখানে তাঁর পরিবর্তে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর।
চট্টগ্রাম এলাকার বিতর্কিত কয়েকজনও মনোনীতদের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। বর্তমান সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী বেশ কয়েকবার বিতর্কের মুখে পড়েন।
চট্টগ্রাম-১২ আসনে তাঁর পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন। চট্টগ্রাম-৪ আসনে গত দু’বারের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে পাহাড় কেটে ইটখোলা স্থাপনসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সেখানে মনোনয়ন পেয়েছেন সম্প্রতি পদত্যাগ করা সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন। তাঁর বাবাও একসময় এখানে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
বনের জমি দখল ও অস্ত্রধারী নিয়ে মিছিল করে সমালোচিত হন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম। এবার সেখানে মনোনয়ন পেয়েছেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দীন আহমদ।
তালিকায় জামাই-শ্বশুর
মনোনয়ন পেয়েছেন জামাই-শ্বশুর। ভোলা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপি এবারও মনোনয়ন পেয়েছেন। পাশাপাশি তাঁর একমাত্র মেয়ের জামাই ডা. তৌহিদুজ্জামান টিটু মনোনয়ন পেয়েছেন যশোর-২ আসন থেকে। তিনি স্কয়ার হাসপাতালের কার্ডিয়াক বিভাগের প্রধান।
একইভাবে নোয়াখালী-৪ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী এমপি। পাশাপাশি তাঁর মেয়ের জামাই মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম মনোনয়ন পেয়েছেন ঢাকা-৭ আসন থেকে। সোলেমানের পিতা হাজী সেলিম ঢাকা-৭ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য।
বর্তমানে আওয়ামী লীগের এমপি কিন্তু এবার মনোনয়ন পাননি এমন আসনগুলোতে নতুন মুখের মধ্যে রয়েছেন পঞ্চগড়-১ নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া, ঠাকুরগাঁও-২ মাজহারুল ইসলাম, রংপুর-৫ রাশেক রহমান, কুড়িগ্রাম-৩ সৌমেন্দ্র প্রসাদ পাণ্ডে, কুড়িগ্রাম-৪ বিপ্লব হাসান, গাইবান্ধা-৪ আবুল কালাম আজাদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ জিয়াউর রহমান, নওগাঁ-৩ সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী, নওগাঁ-৪ নাহিদ মোর্শেদ, রাজশাহী-৩ আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী-৪ আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী-৫ আব্দুল ওয়াদুদ দারা, সিরাজগঞ্জ-৪ শফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-৬ চয়ন ইসলাম, পাবনা-৪ গালিবুর রহমান শরীফ, মেহেরপুর-২ আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক, ঝিনাইদহ-৩ সালাহ উদ্দিন মিয়াজী, যশোর-২ তৌহিদুজ্জামান, যশোর-৪ এনামুল হক বাবুল, বাগেরহাট-৪ এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ, খুলনা-১ ননী গোপাল মণ্ডল, খুলনা-৩ এস এম কামাল হোসেন, খুলনা-৬ রশীদুজ্জামান, সাতক্ষীরা-২ আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা-৪ এস এম আতাউল হক, বরিশাল-২ তালুকদার মো. ইউনুস, বরিশাল-৩ সরদার মো. খালেদ হোসেন, টাঙ্গাইল-৩ কামরুল হাসান খান, টাঙ্গাইল-৪ মোজহারুল ইসলাম তালুকদার, টাঙ্গাইল-৫ মামুন-অর-রশিদ, টাঙ্গাইল-৮ অনুপম শাহজাহান জয়, জামালপুর-১ নুর মোহাম্মদ, জামালপুর-৪ মাহবুবুর রহমান, জামালপুর-৫ আবুল কালাম আজাদ, শেরপুর-৩ এডিএম শহিদুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-৩ নিলুফার আনজুম, ময়মনসিংহ-৫ আব্দুল হাই আকন্দ, ময়মনসিংহ-৯ আব্দুল সালাম, নেত্রকোনা-১ মোশতাক আহমেদ রুহী, নেত্রকোনা-৫ আহমদ হোসেন, মানিকগঞ্জ-১ আব্দুস সালাম, ঢাকা-৫ হারুনুর রশীদ, ঢাকা-৭ মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম, ঢাকা-১১ মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন, ঢাকা-১৪ মাইনুল হোসেন খান, গাজীপুর-৩ রুমানা আলী, নরসিংদী-৩ ফজলে রাব্বি খান, ফরিদপুর-১ আবদুর রহমান, ফরিদপুর-৩ শামীম হক, সুনামগঞ্জ-১ রনজিত চন্দ্র সরকার, সুনামগঞ্জ-২ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, সিলেট-৩ হাবিবুর রহমান, সিলেট-৫ মাসুক উদ্দিন আহমদ, মৌলভীবাজার-৩ মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, হবিগঞ্জ-১ ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী, হবিগঞ্জ-২ ময়েজ উদ্দিন শরীফ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ ফয়জুর রহমান, কুমিল্লা-১ আবদুস সবুর, কুমিল্লা-৮ আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিন, চাঁদপুর- ২ মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, নোয়াখালী-৬ মোহাম্মদ আলী, চট্টগ্রাম-১ মাহাবুব উর রহমান রুহেল, চট্টগ্রাম -৪ এস এম আল মামুন, চট্টগ্রাম-১২ মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এবং কক্সবাজার-১ সালাহ উদ্দীন আহমদ।
বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগের এমপি নেই এমন আসনগুলোতে নতুন মুখের মধ্যে রয়েছেনু ঠাকুরগাঁও-৩ ইমদাদুল হক, নীলফামারী-৩ গোলাম মোস্তফা, নীলফামারী-৪ জাকির হোসেন বাবুল, লালমনিরহাট-৩ মতিয়ার রহমান, রংপুর-১ রেজাউল করিম রাজু, রংপুর-৩ তুষার কান্তি মণ্ডল, কুড়িগ্রাম-২ জাফর আলী, গাইবান্ধা-১ আফরুজা বারী, বগুড়া-২ তৌহিদুর রহমান মানিক, সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, বগুড়া-৪ হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, বগুড়া-৫ মজিবর রহমান মজনু, বগুড়া-৭ মোস্তফা আলম, রাজশাহী-২ মোহাম্মদ আলী, সাতক্ষীরা-১ ফিরোজ আহম্মেদ, বরিশাল-৬ আবদুল হাফিজ মল্লিক, পিরোজপুর-২ কানাই লাল বিশ্বাস, পিরোজপুর-৩ আশরাফুর রহমান, ময়মনসিংহ-৪ মোহাম্মদ মোহিত উর রহমান, ময়মনসিংহ-৮ আবদুছ ছাত্তার, কিশোরগঞ্জ-৩ নাসিরুল ইসলাম খান, মুন্সীগঞ্জ-১ মহিউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-৪ সানজিদা খানম, ঢাকা-৬ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ঢাকা-৮ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, নারায়ণগঞ্জ-৩ আবদুল্লাহ আল-কায়সার, সুনামগঞ্জ-৪ মোহাম্মদ সাদিক, সিলেট-২ শফিকুর রহমান চৌধুরী (গণফোরামের আসন), মৌলভীবাজার-২ শফিউল আলম চৌধুরী (সুলতান মনসুরের আসন), ফেনী- ৩ মো. আবুল বাশার, ফেনী-১ আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, লক্ষ্মীপুর-৪ ফরিদুন্নাহার লাইলী (বিকল্পধারার আসন), চট্টগ্রাম-২ খাদিজাতুল আনোয়ার সনি (তরীকতের আসন) এবং চট্টগ্রাম-৫ মোহাম্মদ আবদুস সালাম।