ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ

ট্রেনে আগুন লাগার আগে ভিডিও কনফারেন্স করে বিএনপির নেতারা

বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুনে বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ জড়িত
নিজস্ব প্রতিবেদক
  ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৮
আপডেট  : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:০২

রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবী জড়িত বলে দাবি করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এই ঘটনায় নবীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দারা চাঞ্চল্যকর এ তথ্য জানায়।
শনিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ৷
তিনি বলেন, নবীসহ গ্রেপ্তারকৃত সবাই সরাসরি বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডে জড়িত ছিল। ট্রেনে আগুন লাগার আগে বিএনপির ১০-১১ জন ভিডিও কনফারেন্স করেন। সেখানে তারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু পরিকল্পনা করেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের পরিকল্পনা হিসেবে বিএনপির হাইপ্রোফাইল নেতারা ভিডিও কনফারেন্স করেন। কনফারেন্সে প্রথমে আসেন মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহবায়ক খন্দকার এনাম৷ এরপর আসেন সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, যুগ্ম আহবায়ক এম এ গাফফার, ইকবাল হোসেন বাবলু, একজন দপ্তর সম্পাদক ও কাজী মনসুর। তারা ভিডিও কনফারেন্সে এসে বৃহত্তর ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী ট্রেনে বিশেষ করে নরসিংদীর কাছে সুবিধাজনক স্থানে অগ্নিসংযোগ করার সিদ্ধান্ত নেন। এছাড়াও কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ লাইনে আপ-ডাউনে সুবিধাজনক স্থানে যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন লাগিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করার পরিকল্পনা নেন।
তিনি বলেন, দক্ষিণ যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়নের তত্ত্বাবধানে যুবদলের কয়েকটি টিম লালবাগের কয়েকজন দাগি সন্ত্রাসী দিয়ে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন লাগানো হয়। ভিডিও কনফারেন্সে বলা হয়- ট্রেনে কে আগুন লাগাবেন? কনফারেন্সে থাকা ১০-১২ জনের একজন বলেন, তিনি আগুন লাগাতে পারবেন। তবে তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে তার নামটি আমরা বলব না।


ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভিডিও কনফারেন্সে থাকা আরও তিনজন আগুন লাগাতে পারবেন বলে জানান। তারা ২০১৩-১৪ সালে বিভিন্ন এলাকায় বোমা নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগ করেছিল। তারা মিলে যাত্রাবাড়ীর আশপাশের এলাকা থেকে ট্রেনটিতে অগ্নিসংযোগ করে।'
গোয়েন্দাপ্রধান বলেন, ‘যে মোবাইল থেকে ভিডিও কনফারেন্স করা হয়েছিল সেই মোবাইলটি উদ্ধার করেছে ডিবি। মোবাইলটি কাজী মনসুরের। তিনি আমাদের কাছে গ্রেপ্তার আছেন। যারা এক সময় জেলখানায় দাগি আসামি হিসেবে পরিচিত ছিল তারা এই অগ্নিসংযোগ করে।’ যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের রিমান্ডে এনে ট্রেনে অগ্নিসংযোগের বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানান হারুন।
শুক্রবার রাতে রাজধানীর গোপীবাপে ট্রেনটিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে চারজনের মৃত্যু হয়। শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন আটজন।