বেনাপোল এক্সপ্রেসে নাশকতার আগুন

দগ্ধ ৮ জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক

এখনো নিখোঁজ চন্দ্রিমা, হন্যে হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ছুটছে পরিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক
  ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৮

রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে নাশকতার অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ আটজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন সংবাদ সম্মেলনে জানান, তাদের সবারই অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তিনি বলেন, বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুনে দগ্ধ ৮ জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। তাদের সবারই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। একজনের শরীরের ৯ শতাংশ পুড়ে গেছে। সবাই মানসিক ট্রমার মধ্যে রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আসিফ মোহাম্মদ খান নামে একজন রোগীর শরীরে ৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। নাফিজ আলম নামে আরেকজনের ৫ শতাংশ পুড়েছে। এ দুজনসহ বাকিদের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। সবাইকেই আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি।

এখনো নিখোঁজ চন্দ্রিমা, হন্যে হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ছুটছে পরিবার
বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডে এখনো নিখোঁজ ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী চন্দ্রিমা চৌধুরী। ২৮ বছর বয়সী চন্দ্রিমার খোঁজে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে হন্যে হয়ে ছুটছেন পরিবারের সদস্যরা। ট্রেনে আগুন লাগার আধা ঘণ্টা আগেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয় তার। তবে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে তার খোঁজ মেলেনি।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে চন্দ্রিমাকে খুঁজতে আসেন তার পরিবারের সদস্যরা।
এসময় চন্দ্রিমার ফুফাতো ভাই অনিন্দ্য পাল বলেন, ‘ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে বেনাপোল এক্সপ্রেসে ওঠেন চন্দ্রিমা। এরপর বেশ কয়েকবার পরিবারের সঙ্গে কথা হয়। অগ্নিকাণ্ডের পর তার ফোন নম্বরে কল করা হলে তখন ব্যস্ত পাওয়া যায়। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ রয়েছে, কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।’
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় বড় ভাইয়ের বাসায় থেকে চন্দ্রিমা লেখাপড়া করছিলেন জানিয়ে অনিন্দ্য বলেন, ‘গতকাল রাত থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ আশপাশের সব হাসপাতালে আমরা খুঁজেছি। হাসপাতালের মর্গে গিয়েও তার খোঁজ পাইনি। পাগলের মতো আমরা তাকে খুঁজছি কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে না।’