পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে পঞ্চগড় শহর থেকে এনসিপির লংমার্চ

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২০:৩১

চাঁদাবাজি, দখলদারি, দুর্নীতিসহ সব ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় শহর থেকে বাংলাবান্ধার উদ্দেশ্যে লংমার্চ শুরু করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। 
শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের নেতৃত্বে পঞ্চগড় চিনিকল মাঠ থেকে এ লংমার্চ শুরু হয়। 
প্রায় ১৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ লংমার্চে এনসিপি নেতাকর্মীরা ছাড়াও কয়েকটি পিকআপসহ ৫ শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে পাঁচ উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী, এনসিপি ও জাতীয় নাগরিক যুব শক্তির নেতাকর্মীরা অংশ নেন। 
লংমার্চটি পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী, চাকলাহাট, হাড়িভাসা, হাফিজাবাদ, অমরখানা, সাতমেরা, তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর, ভজনপুর, বুড়াবুড়ি, শালবাহান, তেঁতুলিয়া ও তিরনইহাট ইউনিয়ন অতিক্রম করে বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে গিয়ে শেষ হয়। পথে তেঁতুলিয়া চৌরাস্তায় প্রথম পথসভা এবং বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়া বাজারে দ্বিতীয় পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। উভয় পথসভায় বক্তব্য দেন সারজিস আলম। এছাড়াও রাতে লংমার্চটি পঞ্চগড়ে ফিরে জেলা শহরের শেরেবাংলা পার্কসংলগ্ন জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে পৌঁছানোর পর সমাপনী বক্তব্য দেবেন সারজিস আলম। 
এদিকে দুপুরে পঞ্চগড় শহর পার হওয়ার সময় পিকআপের ওপর সারজিস আলম নিজেই মাইকে স্লোগান দেন। এ সময় সারজিস আলমকে ‘চাঁদাবাজদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না, পঞ্চগড়ে হবে না’, ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, পঞ্চগড়ে হবে না’,  ‘মাদকের ঠিকানা, পঞ্চগড়ে হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। 
এ সময় লংমার্চে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের হাতে বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন দেখা যায়। এতে পঞ্চগড়ে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল চাই ও পুলিশকে অবশ্যই রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে হবে এরকম নানা দাবির কথা লেখা ছিল। 
উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবার সারজিস আলম নিজের ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় এনসিপি আয়োজিত চাঁদাবাজি, দখলদারি, সিন্ডিকেট, দুর্নীতিসহ সব ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে পঞ্চগড়ের এই লংমার্চে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।