মেজর জেনারেল কবীর নিখোঁজ, আখাউড়া সীমান্তে সতর্কাবস্থা

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৩:৩০
আপডেট  : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৩:৩৮


মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় তদন্তের মুখে থাকা মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদকে ধরতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ও সীমান্ত এলাকায় সতর্কাবস্থায় রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
যদিও সীমান্তে যে কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি কিংবা অপতৎপরতা রোধে সম্পূর্ণ প্রস্তুত ও সর্বোচ্চ টহল জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
পলাতক মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদকে ধরতে সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তাকে অবৈধভাবে অনুপস্থিত ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সামরিক সদস্যদের মামলাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শনিবার বিকালে ঢাকা সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান।
গুমসংক্রান্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদকে অবৈধভাবে অনুপস্থিত ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি যেন দেশ থেকে পালিয়ে যেতে না পারেন, সেজন্য সব সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ইনচার্জ ওসি আব্দুস সাত্তার বলেন, গেল বছর ৫ আগস্টের পর থেকেই আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে খুবই সতর্কতার সঙ্গে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাচাই-বাছাই করে পারাপার করা হচ্ছে। এ পথে কোনো অপরাধীই যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে ইমিগ্রেশন পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর ৬০ বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার মো. মনির হোসেন বলেন, সীমান্তে যে কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি কিংবা অপতৎপরতা রোধে সম্পূর্ণ প্রস্তুত ও সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে বিজিবি।
মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক সচিব। 
১০ অক্টোবর তাকে সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী অবৈধভাবে অনুপস্থিত ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীকালে প্রয়োজনীয় অফিশিয়াল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ডিজিএফআই, এনএসআই এবং বিজিবিকে নির্দেশ দিয়েছে সেনাবাহিনী। মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ যেন স্থল, বিমান বা সমুদ্রপথে দেশত্যাগ করতে না পারেন।