যেভাবে পঞ্চগড় গেলেন মুফতি মুহিব্বুল্লাহ!

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫৯

গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকার টিঅ্যান্ডটি বাজার জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজী নিজেই পঞ্চগড়ে গিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। 
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আমি হাঁটতে গেছি। হাঁটতে যাওয়ার পরে আমার মাথায় আসলো যে আমি চলতে থাকি, যাই। কোন দিকে যাই, বলতে পারি না।
একপর্যায়ে আমি অটো পাইছি, অটোতে উঠছি, মীরের বাজার নামছি। নামার পরে মনে চাইল যে আমি জয়দেবপুর যাই। সিএনজি দিয়ে জয়দেবপুর গেছি। এরপরে আমার মাথায় আসলো যে আমি এখন এই বাসে উঠি।
বাসে উঠে শ্যামলী না কোন যায়গায় যেন নামাইছে। এইখান থেকে আমি আরেকটা বাসে উঠে গাবতলী গেছি। ওইখান থেকে আমি মনে চাইল যে আমি টিকিট করি। কই যাব, খেয়াল হইল যে আমি পঞ্চগড় যাই।
অনেক রাতে পঞ্চগড় নামছি। নামার পরে হাঁটতেছিলাম, কোন দিকে হাঁটতেছি আমি জানি না চিনি না, হাঁটতেছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘একপর্যায়ে আমি দেখি যে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ লাইনস এগুলো হেঁটে পার হয়ে গেছি। পার হয়ে গিয়ে আমি একটা শিকল কুড়িয়ে পাইলাম। ওইটা নিয়ে আমি এক যায়গায় প্রস্রাব করতে বসলাম।
প্রস্রাব করলাম আর পায়জামায় প্রস্রাব লাগল, এর পরে জামায়ও লাগল। জামা খুইলা ফালাইলাম, পায়জামাও খুললাম। কিন্তু খোলার পরে আবার পরতে হবে এই জিনিসটা আমি আর পারি নাই ঠাণ্ডায়। ঠাণ্ডায় ওইখানে শুইয়া পড়লাম আর পায়ে শিকল দিলাম। এইটা কেন করতেছি এইটার কোনো চিন্তাভাবনা আমার নাই, খালি যা মাথায় আসতেছে তা করতেছি।’ 
এর আগে গাজীপুরের টঙ্গী টিঅ্যান্ডটি এলাকার বিটিসিএল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজীকে (৬০) পঞ্চগড়ের সদর থানার হেলিপ্যাড বাজার এলাকা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ ২৩ অক্টোবর সকালে তাকে একটি গাছের সঙ্গে লোহার শিকল দিয়ে বাঁধা অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে এবং স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে।