স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ৭ জানুয়ারি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রজাতন্তের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ। প্রতিনিধি হিসেবে তাদের প্রত্যাশা পূরণ ও কল্যাণ নিশ্চিতে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, পাঁচ বছর পূর্ণ হলে কৃতকর্মের হিসাব নিয়েই জনগণের কাছে সংসদ সদস্যদের ফিরে যেতে হবে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমেই সংসদ সদস্যরা কাজ করার সুযোগ পান।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সংসদ ভবনের শপথকক্ষে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা অংশগ্রহণে ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচি’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।
সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. তারিক মাহমুদ স্বাক্ষরিত পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্পিকার বলেন, ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত আমাদের স্বাধীন ভূখণ্ড। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের দিয়ে গেছেন লাল-সবুজের পতাকা ও অনন্য একটি সংবিধান। তার সুদীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রাম, জেল-জুলুম, অত্যাচার সহ্য করার বিনিময়ে বাংলাদেশের জন্ম। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় অর্জিত হলেও, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন সোনার বাংলায় ফিরে আসেন।
অনেক রক্তের বিনিময়ে আমাদের শাসনতন্ত্র জানিয়ে তিনি বলেন, এই শাসনতন্ত্র শহীদের রক্তে ভেজা। সংবিধানই সর্বোচ্চ আইন। এর আলোকেই রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। সংসদ ভবন একটি অনন্য স্থাপত্য শিল্প। সংসদ সংবিধানের চারটি মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। আমাদের দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রচলিত। আমাদের জাতীয় সংসদ এককক্ষ বিশিষ্ট। নির্বাহী বিভাগ ও সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত করা আইনসভার সদস্যদের অন্যতম কাজ।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোট পাঁচবারের ও টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী। জনগণের ভোট ও সমর্থন নিয়ে তিনি নির্বাচিত হন। জাতীয় সংসদের প্রতিটি ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত সচেতন ও মনোযোগী। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে সংসদ প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গঠনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে স্মার্ট সংসদ ও দেশ গড়ে তুলতে সংসদ সদস্যদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান স্পিকার।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংসদের ডেপুটি স্পিকার সংসদ সদস্য মো. শামসুল হক টুকু ও সংসদ সদস্য চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বক্তব্য দেন।
কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ অনুষ্ঠানে সংসদীয় কার্যক্রম সম্পর্কে সেশন এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্ব পরিচালনা করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু উপস্থিত ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা কর্মসূচিতে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।