চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুস ছামাদকে লাঞ্ছিত করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইলেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তারা ভুল করেছেন, আর কখনো এমন করবেন না বলে হাতে-পায়ে ধরে ক্ষমা চান ওই পুলিশ কর্মকর্তার কাছে। মানবিকতার পরিচয় দিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের ক্ষমা করে দেন।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। তোমরাও তো আমার সন্তানের মতো। ছেলেরাও বাবা-মা এবং শিক্ষকদের সঙ্গে ভুল করে। সংশোধন করার সুযোগ দিতে হয়। আশা করছি, ভবিষ্যতে তোমরা বড়দের সম্মান করবে। ছোটবড় কেউ ভুল করলে তাকেও শোধরানোর সুযোগ দিতে হবে।
এর আগে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একদল শিক্ষার্থী দলবেঁধে এসে চড়াও হন ওই পুলিশ কর্মকর্তার ওপর।
শহরের কোড়ালিয়া এলাকায় একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বিবাদমান দু’পক্ষের রোষানলে পড়েন পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুস ছামাদ। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা থানার ভেতর থেকে টেনে হিঁচড়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে আরেকদল শিক্ষার্থী পুলিশের এ কর্মকর্তাকে রক্ষায় এগিয়ে যান। একপর্যায়ে বাদানুবাদের জের ধরে সেখানে ঘটে পুলিশ কর্মকর্তাকে নাজেহালের ঘটনা। এমন একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে।
কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পুলিশ সদস্যকে রক্ষার চেষ্টাও করতে দেখা গেছে। এক পর্যায়ে ওসি আলমগীর হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। খবর পেয়ে দ্রুত থানায় ছুটে আসেন পুলিশ সুপার ও শিক্ষার্থীরা।