সিরাজগঞ্জে ভার্চুয়ালি স্মরণ সভায় তারেক রহমান

ভোটাধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:৩৯

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের কোটি মানুষ চেয়েছিল দেশটি স্বৈরাচারমুক্ত হোক। কিছুদিন আগেও মানুষের কথা বলার অধিকার ছিল না। এই দেশের মানুষ আত্মত্যাগ করে সেই অধিকার অল্প সময়ের মধ্যেই অর্জন করেছে। তবে, আমরা আংশিক সফল হয়েছি। যে পর্যন্ত ভোটের অধিকার নিশ্চিত না হবে সে পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন চলবে। ২১ সেপ্টেম্বর (শনিবার) বিকালে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক স্মরণসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্মরণসভায় অর্ধ লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটে। তারেক রহমান বলেন, দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছি। আমাদের যে লক্ষ্য তার অল্প একটু অর্জন করেছি। আমাদের আরো অনেক পথ যেতে হবে। আমরা মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে জবাবদিহিতামূলক সরকার গঠন করতে চাই। আর এজন্যই এত আন্দোলন, এত ত্যাগ।
তিনি বলেন, আমি বিভিন্ন সময় চেষ্টা করেছি বাংলাদেশের গ্রামের মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য। দেশকে স্বনির্ভর করে তুলতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ সামগ্রিকভাবে একটি সম্ভাবনাময় দেশ উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ মানুষের সামনে বিপুল সম্ভাবনা। আঞ্চলিক উৎপাদন সম্ভাবনার ওপর আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমরা জাতির কাছে ৩১ দফা উপস্থাপন করেছি। এখানে অনেক কিছু আছে। আজকে যদি দেশকে এগিয়ে নিতে হয় তাহলে শুধু যে সংস্কার চেয়েছি তা করলেই হবে না, দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে হবে। শুধু রাজনৈতিক মুক্তিই সব সুফল বয়ে আনবে না। দেশ সামগ্রিকভাবে সম্ভাবনাময় হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ দেশকে যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ করতে পারি তাহলে অবশ্যই অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব।
সিরাজগঞ্জবাসীর উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, আমরা আশপাশে তাকালে দেখতে পাই বেলকুচি, চৌহালীর কামারখন্দের নাম এলেই তাঁত শিল্পের কথা আসে। বিএনপি ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে কৃষি, তাঁত শিল্প ও পাট শিল্পকে সমৃদ্ধ করার জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছিল। তিনি বলেন, বিএনপির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মানুষের পাশে দাঁড়ানো। ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশের মানুষের ভোটে ক্ষমতায় এলে বিএনপি তাঁত শিল্পের পাশে এসে দাঁড়াবে। এই শিল্পকে কীভাবে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে যায় সে বিষয়ে গুরুত্ব দেব।
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বক্তব্য দেয়ার সময় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলে সভা ১ ঘণ্টা বন্ধ থাকে। সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং জেলা বিএনপির সভানেত্রী রোমানা মাহমুদ। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এ সভার আয়োজন করে বেলকুচি, চৌহালী ও এনায়েতপুর থানা বিএনপি। স্মরণসভাকে কেন্দ্র করে যমুনা সেতু থেকে এনায়েতপুর পর্যন্ত অসংখ্য ব্যানার এবং ফেস্টুন লাগানো হয়।
বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব বনি আমিন ও এনায়েতপুর থানা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জু সিকদারের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, উপদেষ্টা ডা. এম এ মুহিত, বেলকুচি উপজেলার আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম গোলাম, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আলতাব প্রামাণিক, এনায়েতপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক মন্টু সরকার, চৌহালী উপজেলার সভাপতি জাহিদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ময়নাল কারি, জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল কায়েস, ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ হোসেন সবুজ, মহিলা দলের সভানেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন হাসি প্রমুখ।