সিলেট স্ট্রাইকার্সের মাদার প্রতিষ্ঠান নিয়ে মাশরাফির বিরুদ্ধে অভিযোগ 

মালিকানা নেই, তবুও মামলা!

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৫৬

জোর করে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানা লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মাশরাফি বিন মতুর্জার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সাবেক মালিক সারোয়ার চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন, যাতে ১ নম্বর আসামী করা হয়েছে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ককে।
রাজধানীর পল্লবী থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। সারোয়ার দাবি করেছেন, জোরপূর্বক তার কাছ থেকে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মাদার প্রতিষ্ঠান ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের মালিকানা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মাশরাফির কার্যালয়ে বসে হেলাল বিন ইউসুফ শুভ্র নামের এক ব্যক্তি সিলেটের সহ-মালিক সারোয়ারের মাথায় রিভলবার ঠেকিয়েছিলেন বলে মামলার এজহারে উল্লেখ করা আছে।
যদিও সিলেটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিপিএলে মাশরাফির কোনও মালিকানাই ছিল না। সোমবার রাতে সিলেটের ফেসবুক পেজে লম্বা পোস্টের শুরুতেই কর্তৃপক্ষ লেখেন, 'সিলেট স্ট্রাইকার্সের এক শতাংশের মালিকানাও মাশরাফি বিন মুর্তজার কখনও ছিল না, এখনও নেই। জোর করে মালিকানা লিখে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানার যে কাগজপত্র বিসিবির কাছে আছে, সেখানেও মাশরাফির নাম নেই।’
পরবর্তীতে সিলেটের মালিকানার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে আরও লেখা হয়েছে, 'এবার আপনাদের একটি গল্প শোনাই। বিপিএলের প্রথম আসরে অংশ নিয়েই সাড়া জাগিয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। মাশরফির নেতৃত্বে আমরা রানার্স আপ হয়েছিলাম। মাঠের ভেতরে-বাইরে আমাদের পেশাদারিত্ব, সিলেট সর্বস্তরের মানুষ থেকে শুরু করে সারা দেশের সমর্থকদের সম্পৃক্ত করতে পারা, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আমাদের উপস্থাপনা, সবকিছুই ছিল দারুণ প্রশংসিত। তারপরও দ্বিতীয় মৌসুমে আমাদের দল গঠন প্রক্রিয়ায় কেন ধস নামে?'
ফ্যাইঞ্চাইজিটি আরও লিখেছে, 'শুরুতে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ৬০ শতাংশের মালিকানা ছিল সারোয়ার গোলাম চৌধুরীর। সহ-স্বত্বাধিকারীদের সঙ্গে সক্রিয় হয়ে তিনি কাজ করছিলেন। কিন্তু যখন ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক থেকে শুরু করে অন্যান্য খরচের পালা আসে, ক্রমে তাকে পিছু হটতে দেখা যায়। অনেক ক্রিকেটার ও ম্যানেজমেন্টের কয়েকজন সদস্যের পারিশ্রমিক, পরিচালন খরচ ও আরও বিভিন্ন খাতে তার অংশের কয়েক কোটি টাকা বাকি রেখেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। তার সঙ্গে যোগাযাগ করা হলে বারবার আশ্বাস দেওয়ার পরও কোনও পদক্ষেপ তিনি নেননি।'
সিলেট স্ট্রাইকার্সের ক্রিকেটার, কোচ, ম্যানেজমেন্টের অন্যান্য সদস্য ও সংশ্লিষ্ট অনেকেই বিষয়টি নিয়ে অবগত উল্লেখ করে পেজে আরও বলা হয়, 'শেষ পর্যন্ত পাওনা টাকা শোধ করতে না পেরে গত বছরের আগস্টে তিনি নিজ থেকেই অন্যান্য স্বত্বাধিকারীর ওপর মালিকানা ছেড়ে দেন। বিসিবিকেও তিনি ই-মেইল দিয়ে নিজের সরে যাওয়ার কথা জানান।'
সবশেষে ফ্যাঞ্চাইজিটি জানায়, 'এখন সাম্প্রতিক পালাবদলের পর দেশ যখন নতুন যুগের সন্ধিক্ষণে, তখন পরিস্থিতির ফায়দা নিয়ে কেউ কেউ ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য হাসিল করার চেষ্টা করছে। তাই সিলেট স্ট্রাইকার্সের ভক্ত-সমর্থক ও দেশের ক্রিকেট অনুসারীদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরলাম। আইনি ব্যাপার আমরা আইনগতভাবেই মোকাবেলা করবো।’