দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনার পতন হলেও এখনো ভারতীয় আধিপত্যবাদের পতন হয়নি। এজন্য বাঙালি মুসলমানের বয়ান তৈরি করতে হবে। বাঙালি মুসলমানের নিজস্ব সংস্কৃতির বয়ানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটবে এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের পতন হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ২টায় কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। এসময় অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার ও দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করানোর দাবি জানান তিনি।
কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল মামুন সাগরের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদাল হোসেন, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এএম জুবায়েদ রিপন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম উল হাসান অপু, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবুল হাসেম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষ করে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র ছাত্রলীগের হামলায় নিহত আবরার ফাহাদের বাসায় যান আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
২০১৮ সালের ২২ জুলাই একটি মানহানি মামলায় জামিন নিতে কুষ্টিয়ায় আসেন মাহমুদুর রহমান। আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হওয়ার পথে জেলা ছাত্রলীগের নেতাদের নেতৃত্বে তার ওপর হামলা হয়। সেসময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও নীরব ছিল। হামলায় গুরুতর জখম হন মাহমুদুর রহমান। ইট দিয়ে মেরে তার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া তাকে ঘিরে ধরে বেদম মারধর করে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা।
ওই ঘটনার দীর্ঘ ছয় বছর পর মামলা করতে বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া মডেল থানায় আইনজীবীসহ আসেন মাহমুদুর রহমান। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পুলিশের সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, কুষ্টিয়ার সাবেক এসপি মেহেদী হাসান, মডেল থানার ওসি নাসির উদ্দিন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীসহ মোট ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরও ১৫-২০ জনকে।