লেবানন যুদ্ধ ও কিংবদন্তি সাংবাদিক রবার্ট ফিস্ক

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:০০

পশ্চিম এশিয়ার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ লেবাননে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে ইসরায়েলের আগ্রাসন চলছে। গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার পর গণহত্যাকারী ইসরায়েলি বাহিনী গত ১ অক্টোবর লেবাননে স্থল আক্রমণ শুরু করেছে। এর আগে একের পর এক বোমা হামলা ও সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে অভিযান চালায় ইসরায়েল। লেবাননে এটি ইসরায়েলের ৩য় আগ্রাসন।
বর্তমানে লেবাননে কর্মরত রয়েছে প্রায় ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি। যুদ্ধের কারণে গত ২১ অক্টোবর থেকে বিভিন্ন ধাপে দেড় শতাধিক বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। লেবাননে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি দল জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর (ইউনিফিল) অংশ হিসেবে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত যুদ্ধে প্রায় ১৮০০ লেবানিজ নিহত হয়েছে এবং ১২ লাখ নাগরিক ঘরবাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়েছে।
লেবানন সেনাবাহিনী নয়, ইসরায়েলের যুদ্ধ চলছে হিজবুল্লাহ নামে ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত অত্যন্ত শক্তিশালী শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সঙ্গে। ইরান সমর্থিত (ইরানের প্রক্সি হিসেবে পরিচিত) বিশ্বের এই বৃহত্তম বেসরকারি বাহিনী বা নন-স্টেট অ্যাক্টরের সৈন্য সংখ্যা ৩০ হাজার। হিজবুল্লাহ লেবাননের সমাজের সঙ্গে মিশে আছে, বিশেষ করে দেশের দক্ষিণে শিয়া মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে।
লেবাননে ইসরায়েল এই আক্রমণকে ‘সীমিত স্থল আক্রমণ’ আখ্যা দিয়েছে। তবে অনেক পর্যবেক্ষক মনে করছেন যে, ইসরায়েল যদি দক্ষিণ লেবানন থেকে হিজবুল্লাহকে উৎখাত এবং ‘বাফার জোন’ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে, তা হলে উভয়ের জন্যই বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিভিন্ন সময়ে গাজা (প্যালেস্টাইন) ও লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ ও বর্বর কর্মকাণ্ডের বিবরণ মূলধারার পশ্চিমা করপোরেট মিডিয়ায় সেভাবে উঠে আসেনি। ইসরায়েলের প্রতি পশ্চিমা মিডিয়ার এই লজ্জাজনক পক্ষপাতে বিস্মিত বিশ্ববিবেক। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনেকে প্রয়াত যুদ্ধ-সাংবাদিক রবার্ট ফিস্কের কথা স্মরণ করছেন। যিনি মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের সত্য তুলে ধরতেন অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে।

সাংবাদিক হিসেবে রবার্ট ফিস্ক দীর্ঘ ৪৫ বছর অপরূপ বৈরুত নগরীতে বসবাস করতেন। তার অ্যাপার্টমেন্টটি ছিল আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বৈরুতের নিকটবর্তী সমুদ্রতীরে। ফিস্কের প্রিয় বৈরুত শহর এখন ইসরায়েলের আক্রমণে বিধ্বস্ত।
বরেণ্য আইরিশ-ব্রিটিশ সাংবাদিক ও লেখক রবার্ট ফিস্ক ৭৪ বছর বয়সে ৩০ অক্টোবর ২০২০ আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে মৃত্যুবরণ করেন। যুদ্ধ-সাংবাদিক (ওয়ার করেসপন্ডেন্ট) হিসেবে ফিস্ক নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন অনন্য উচ্চতায়। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিধায় বা বিশেষণে অবশ্য ফিস্ককে সীমাবদ্ধ করা যায় না। ফিস্ক শুধু সাংবাদিক নন, তাকে নির্যাতিত ও বিবেকবান মানুষের কণ্ঠস্বরও বলা হয়।
১৯৯২-এর ডিসেম্বর। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের (আনটাক) জন্য কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে এখন বিদেশি সাংবাদিক, লেখক ও গবেষকদের ভিড়। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় ইন্দোচীনে কর্মরত সেই সময়ের অনেক তরুণ যুদ্ধ-সাংবাদিক ও লেখক প্রায় বিশ বছর পর আবার কম্বোডিয়ায় এসেছেন। নমপেনে কর্মরত বন্ধুপ্রতিম এক লেবানিজ সহকর্মী থেকেই রবার্ট ফিস্কের রোমাঞ্চকর সাংবাদিকতার কথা প্রথম শুনি।
ততদিনে ‘যুদ্ধ-সাংবাদিকতা’ সম্পর্কে জানা আমার কাছে আকর্ষণীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রথম নারী ভাস্কর নভেরা আহমেদের ফরাসি বন্ধু ও ফটোগ্রাফার পোলানস্কি যুদ্ধ-সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিশন পেয়ে ছবি তুলতে ভিয়েতনামের ফ্রন্টলাইনে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন। নভেরা আহমেদও তার সঙ্গে ভিয়েতনামের রণাঙ্গনে গিয়েছিলেন। বাংলাদেশের কিংবদন্তি সাংবাদিক এসএম আলী (পরে ডেইলি স্টারের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মর্যাদাপূর্ণ পত্রপত্রিকার সঙ্গে যুক্ত থাকাকালীন ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও লাওসের ঘটনা ও যুদ্ধ নিয়ে অনেক লিখেছেন।
পরবর্তীকালে আমি মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশের সশস্ত্র বাহিনীতে (প্রেষণে) কর্মরত থাকাকালীন রবার্ট ফিস্কের ব্যতিক্রমধর্মী রিপোর্ট ও বইগুলো চুম্বকের মতো আকর্ষণ করত। বিশেষত তার মাস্টার পিস ‘দি গ্রেট ওয়ার ফর সিভিলাইজেশন’ পড়ে আমি মানস ভ্রমণ করি আফগানিস্তান থেকে মরক্কো পর্যন্ত বিস্তৃত রণাঙ্গন থেকে রণাঙ্গনে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়া সাহসী বাবা লেফটেন্যান্ট উইলিয়াম ফিস্কের একমাত্র সন্তান ছিলেন রবার্ট ফিস্ক। জন্ম ইংল্যান্ডের কেন্টের মেইডস্টোনে ১৯৪৬ সালের ১২ জুলাই। লেখাপড়া করেছেন ল্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটিতে। হিচককের যুদ্ধের ছবি ‘ফরেন করেসপন্ডেট’ দেখে সাংবাদিক হওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন বালক ফিস্ক। পরে তিনি আয়ারল্যান্ডের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।
সাংবাদিকতায় ফিস্কের ক্যারিয়ার শুরু হয় সানডে এক্সপ্রেসে। ১৯৭২ সালে উত্তর আয়ারল্যান্ডের সংবাদদাতা হিসেবে যোগ দেন ব্রিটেনের ‘দ্য টাইমস’-এ। ১৯৭৬ সালে তিনি বৈরুতে গিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে টাইমসের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৮৯ সালে ব্রিটেনের ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকায় যোগ দেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই পত্রিকার মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিনিধি ছিলেন।
লেবাননের গৃহযুদ্ধের সময় বিপজ্জনক নগরী বৈরুত থেকে যুদ্ধের ওপর প্রতিবেদন পাঠানো ফিস্কের রিপোর্টগুলো পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ১৯৮২ সালে লেবাননের সাবরা ও সাতিলা রিফিউজি ক্যাম্পে লেবাননের খ্রিস্টান ফ্যালানজিন্ট মিলিশিয়া বাহিনীর নৃশংস আক্রমণে ১৫০০-এরও বেশি প্যালেস্টাইনি নিহত হয়। তখন ইসরাইলি সেনাবাহিনী ক্যাম্পগুলো ঘিরে রাখে। প্রচণ্ড গোলাগুলির মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রবার্ট ফিস্কই প্রথম রিপোর্ট করেন। এই গণহত্যায় স্তম্ভিত হয় বিশ্ববিবেক।
লেবাননের গৃহযুদ্ধ নিয়ে পরে রবার্ট ফিস্ক লেখেন তার অসাধারণ গ্রন্থ ‘পিটি দ্য নেশন’। লেবাননের বিখ্যাত কবি কাহলিন জিবরানের একটি কবিতা থেকে তিনি এই নামকরণ করেছেন। এখানে উল্লেখ্য, প্রখ্যাত সাংবাদিক কে.জি. মুস্তাফা ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে প্রথমে লেবাননে এবং ১৯৭৪-৭৫ সালে ইরাকে দায়িত্ব পালন করেন।
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত, যুদ্ধ, নিরাপত্তাহীনতা ও সহিংসতা বিষয়ে রবার্ট ফিস্কের অনেক আগ্রহ ছিল। গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে ইরানের বিপ্লব, ইরান-ইরাক যুদ্ধ, আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসন, বলকান যুদ্ধ, লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসন, আলজেরিয়ার গৃহযুদ্ধ, উপসাগরীয় যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক আক্রমণ, ন্যাটোর আফগানিস্তানে হামলা ও চলমান সিরিয়ার গৃহযুদ্ধসহ মোট ১১টি যুদ্ধ কাভার করেছেন। তাই যুদ্ধ-সাংবাদিক হিসেবে তিনি ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। সাংবাদিক জীবন নিয়ে এক কথায় রবার্ট বলে গেছেনÑ ‘যখনই যে সূত্র পাও না কেন তার পেছনেই তোমাকে ছুটতে হবে।’
ফিস্ক ইরান-ইরাক যুদ্ধের (১৯৮০-১৯৮৮) অনুপুঙ্খ বিবরণ তুলে ধরেন। উভয় সরকারই নিজেদের অবস্থান তুলে ধরার জন্য ফিস্ককে যুদ্ধের ফ্রন্টলাইনে যাওয়ার চমৎকার সুযোগ দিয়েছিল। ইরাক ও আফগান যুদ্ধে সংবাদ সংগ্রহের কারণে বাংলাদেশের সাংবাদিক আনিস আলমগীর খ্যাতি লাভ করেন। ইরাক যুদ্ধের (২০০৩) সময় বাগদাদে অবস্থানকালে যুদ্ধ-সংবাদদাতা আনিস আলমগীরের দেখা হয় রবার্ট ফিস্কের সঙ্গে। বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক ও দৈনিক মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী ও সাংবাদিক ফজলুল বারীও ইরাকের যুদ্ধ কাভার করেন।
বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে তিনবার ইন্টারভিউ (১৯৯৩, ১৯৯৬, ১৯৯৭) নেওয়ায় বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পান ফিস্ক। নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ ও সাহসিকতার জন্য ফিস্ক সমধিক খ্যাত। ফিস্কের তীক্ষè অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধগুলোতে চাপিয়ে দেওয়া মিথ্যা বয়ানগুলো অসংখ্যবার অসত্য প্রমাণিত হয়েছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে আফগানিস্তানে (২০০১-২০০২) ন্যাটো বাহিনীর ব্যাপক বোমাবর্ষণ ও নাগরিকদের নির্বিচার হত্যার ঘটনা রবার্ট রিপোর্ট করেন। তিনি সতর্ক করেছিলেন যে, এর পরিণামে পরবর্তীকালে উগ্রপন্থি তালেবানদের উত্থান হতে পারে।
ফিস্ক ‘এমবেডেড সাংবাদিকতার’ বিরোধী ছিলেন। রণাঙ্গনে রিপোর্ট করার সময় তিনি কখনও সামরিক ইউনিফর্ম পরেননি বা সেনাবাহিনীর অংশ হননি। তিনি বলতেন, ‘সাংবাদিকদের কোনোভাবেই যুদ্ধের অংশ হওয়া উচিত নয়। এতে নিরপেক্ষতা থাকে না।’ ফিস্ক ‘হোটেল রিপোর্টিং’ কখনও করতেন না।
মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও মানুষের প্রতি রবার্টের ছিল অসাধারণ আগ্রহ ও মমত্ববোধ। মধ্যপ্রাচ্যের জনগণের ওপর অগণতান্ত্রিক শাসকদের নির্যাতন, শোষণ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব ও ইসরায়েলের আধিপত্যবাদী আচরণ ও ঐতিহাসিক অবিচারের বিষয়ে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন। সোচ্চার ছিলেন প্যালেস্টাইনিদের অধিকার নিয়ে। প্যালেস্টাইনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। এজন্য তিনি ইসরায়েল ও পশ্চিমা বিশ্বে ‘এন্টি-সেমিটিক’ হিসেবে সমালোচিত হয়েছেন। সহিংসতার জন্য তিনি কোনো পক্ষকেই ছাড় দেননি। বোমা বিস্ফোরণে নিহত নিরীহ ইসরায়েলিদের মৃত্যুর কথা তিনি রিপোর্ট করেছেন। সমালোচনা করেছেন পিএলও নেতাদেরও। ‘দখলবাদী সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের’ খেলায় যখন অধিকাংশ সাংবাদিক, গনমাধ্যমই পশ্চিমাদের নির্দেশিত পথ অনুসরণ করেছে, তখন ফিস্ক ক্ষুরধার প্রতিবেদন ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রশ্ন করেছিলেন।
মনে করা হয় রবার্ট ছিলেন ক্লাসিক্যাল ধারার সম্ভবত সর্বশেষ একজন সাংবাদিক, যার কাছে সত্য, বস্তুনিষ্ঠতা, সততা এবং সর্বোপরি সহমর্মিতার গুরুত্ব ছিল। রবার্ট ছিলেন সত্যিকারের সাহসী মানুষ। তিনি কখনও মিথ্যার সঙ্গে আপস করেননি। তিনি বলতেন, ‘সাংবাদিকতায় সব সময় কর্তৃপক্ষ ও কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করার শক্তি থাকতে হয়। প্রশ্ন করাই সাংবাদিকের প্রথম কাজ।’
ডিজিটাল টেকনোলজির যুগে মিডিয়ার আকার বেড়েছে অবিশ্বাস্য গতিতে অথচ সারা পৃথিবীতেই আশ্চর্যরকমভাবে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পরিসর সংকুচিত হয়ে আসছে। বর্তমান সাংবাদিকতা সম্পর্কে ফিস্ক বলেছিলেন, ‘বর্তমানে জনসংযোগ বিভাগের অনেক কাজটি করে যাচ্ছেন অধিকাংশ গণমাধ্যমকর্মী। সবাই চায় নিরাপদ সাংবাদিকতা।’ আশা করি, নতুন পরিবেশে মুক্ত মিডিয়ায় আমাদের তরুণ সাংবাদিকরা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠতার সহস্র ফুল ফোটাবেন।
বিশ্বের সাংবাদিকতার এই কঠিন সময়ে রবার্ট ফিস্ক ছিলেন সাহসী ও সৎ সাংবাদিকের উজ্জ্বল উদাহরণ। বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকদের কাছে ফিস্ক হতে পারেন এক মহৎ অনুপ্রেরণা। কিংবদন্তি যুদ্ধ-সাংবাদিক সর্বোপরি মানবতার পরম বন্ধু হিসেবে রবার্ট ছিলেন একজন নায়ক। রবার্ট ফিস্কের স্মৃতির প্রতি জানাই অতল শ্রদ্ধা। রবার্ট ফিস্কের প্রিয় দেশ লেবাননে শান্তি নামুক।

মো. বায়েজিদ সরোয়ার : অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও গবেষক