বিশ্বের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের দিকে

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.)
  ১০ অক্টোবর ২০২৩, ১৩:৩২

কথায় আছে, যে গাছে যত বেশি ফল ধরে সে গাছের দিকে তত বেশি মানুষের নজর পড়ে। কেউ কেউ, বিশেষ করে পাড়া-প্রতিবেশী সুযোগ পেলে ঢিল মারে এবং অবৈধ পন্থায় কিছু নিজের জন্য পকেটস্থ করার চেষ্টাও করে।
ফলহীন গাছ আর ভাঙা ঘরের দিকে কেউ তাকায় না। এই কথাগুলো ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র-রাজনীতিতেও সমানভাবে প্রযোজ্য।
রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ আজ আর ভাঙা ঘর নয়। বিস্তৃত শিকড়ের ওপর দণ্ডায়মান সুশোভিত ফুলে ভরা বিশাল এক সম্ভাবনাময় দেশের নাম এখন বাংলাদেশ। এই কৃতিত্ব সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের মানুষের, যার নেতৃত্ব প্রায় ১৫ বছর ধরে দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইংরেজিতে বলা হয়ে থাকে লিডারশিপ ম্যাটারস।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো লিডার পেয়েছিলাম বলেই আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। আর তাঁর মেয়ে শেখ হাসিনা আছেন বলেই সামরিক স্বৈরশাসকের কবল থেকে শুধু মুক্ত নয়, সামরিক শাসকের ঔরসজাত রাজনৈতিক অপশক্তি এবং একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধীদের কবল থেকে আমরা বাংলাদেশকে বের করতে পেরেছি বলেই অফুরন্ত সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের দিকে আজ সবার দৃষ্টি পড়েছে। সে জন্যই আমি বলে থাকি, বঙ্গবন্ধু আমাদের বাংলাদেশ দিয়েছেন, আর শেখ হাসিনা সেটা রক্ষা ও সমৃদ্ধ করে চলেছেন। বিশ্বের মানুষ আজ বাংলাদেশের সাফল্যের কথা শুনতে চায়।

বাংলাদেশকে পাশে পেতে চায়। বন্ধুদের চাওয়া কখনো কখনো অস্বস্তিকর হলেও এটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবে দেখি। বন্ধুদের চাওয়ার কতটুকু আমরা দিতে পারব, আর পারব না, তা নির্ধারণে বিচক্ষণতার সঙ্গে আমাদের কৌশলী হতে হবে।
বিশ্বের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের দিকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতির বাস্তবতায় এখন আর কেউ কারো ওপর জবরদস্তি করতে পারবে না। সে সুযোগ নেই।

বাংলাদেশকে এখন আর কেউ জঙ্গি সন্ত্রাসের দেশ বলতে পারবে না, যেমনটি ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বলা হতো পরবর্তী আফগানিস্তান হবে বাংলাদেশ। আমার দৃষ্টিতে এখন বাংলাদেশের দিকে সবাই তাকাচ্ছে, বিশ্ব অঙ্গনে ডাকা হচ্ছে এবং লাইন ধরে বন্ধুরা বাংলাদেশে আসছেন। বেশি পেছনের ঘটনায় যাব না। গত পাঁচ-ছয় মাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদেশ সফর ও বন্ধু দেশগুলোর সর্বোচ্চ থেকে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশে আগমন এবং তার ভেতর দিয়ে আমরা যেসব বার্তা পেয়েছি সেগুলোর সারসংক্ষেপ ও তাৎপর্য অল্প অল্প করে তুল ধরব, অর্থাৎ একটা রিভিউ আর কি।
বিশ্ব পরিস্থিতি যখন সামরিক উত্তেজনা ও যুদ্ধের দামামায় উত্তপ্ত; তখন যুদ্ধ নয়, শান্তির বার্তা নিয়ে গত ২৫ এপ্রিল থেকে চার দিনের জাপান সফরের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দেশের সম্পর্ককে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তা সত্যিই ছিল অভাবনীয় এক চমক। স্বাধীনতার শুরু থেকেই জাপান বাংলাদেশের নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়ন সহযোগী। তবে এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে স্ট্র্যাটেজিক বা কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত হলো। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের কৌশলগত সম্পর্ক শুধু দ্বিপক্ষীয় নয়, শুধু আঞ্চলিকও নয়, বৈশ্বিক অঙ্গনেও বাংলাদেশকে অনেক সুবিধা দেবে। ভৌগোলিকভাবে পৃথিবীর সর্ব পূর্বের দেশ হলেও ভূ-রাজনীতির মেরুকরণে জাপান পশ্চিমা বলয়ের অন্যতম প্রভাবশালী নীতিনির্ধারক। তাই জাপানের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্কের ইতিবাচক প্রভাবে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো মসৃণ হবে। তার প্রমাণ এরই মধ্যে পাওয়া গেছে।

বিশ্বব্যাংকের বিশেষ আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান থেকে সরাসরি ওয়াশিংটনে যান। যে বিশ্বব্যাংক একসময় দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতুর ঋণ বাতিল করেছে, সেই ব্যাংকের বোর্ডসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আলাদাভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নতুন নির্বাচিত বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা ও আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। ক্রিস্টালিনা বলেছেন, সব বাধাবিপত্তি মোকাবেলা করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন (কালের কণ্ঠ, ১ মে ২০২৩)। শেখ হাসিনা ওয়াশিংটনে পৌঁছানোর আগে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের জন্য আট বিলিয়ন ডলারের সহযোগিতা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এসবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বেলায় বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বড় ধরনের শিফট বা পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।

জাপান, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ যে পশ্চিমা বলয়ের বাইরে নয় তার প্রমাণ পাওয়া যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তাবিষয়ক আন্ডারসেক্রেটারি আজরা জেয়া যখন ১১ জুলাই থেকে চার দিনের জন্য বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ সফরে আসেন। সঙ্গে ছিলেন আরেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া শাখার সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু, যিনি গত জানুয়ারিতেও একবার বাংলাদেশে আসেন। আজরা জেয়ার সফরের আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দু-একটি পদক্ষেপ ও কথাবার্তায় বাংলাদেশের এক শ্রেণির মানুষ মনে করেছিল মার্কিন প্রশাসন বোধ হয় শেখ হাসিনাকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। কিন্তু আজরা জেয়ার সফরের পর তারা চুপ হয়ে গেছে। তারা হয়তো এখন বুঝেছে কয়েক ফোঁটা বৃষ্টিতে সাগর তৈরি হয় না।

কিছুদিন ধরে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলিকে যাঁরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই বুঝেছেন এতদঞ্চলে মার্কিন নীতির একটা সামগ্রিকতা ও বৃহত্তর জায়গা আছে। তাতে দক্ষিণ এশিয়ায় যেন আর কখনো আন্ত সীমান্ত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না ঘটে তার জন্য ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায়। ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে দশ ট্রাক অস্ত্রের চোরাচালান, যেটি আসামের বিদ্রোহীদের জন্য যাচ্ছিল, ধরা পড়ার পর যে কাহিনি প্রকাশ পায় তার পুনরাবৃত্তি রোধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত একসঙ্গে কাজ করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। কিছুদিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময়ও বিষয়টি অত্যন্ত জোরালোভাবে উচ্চারিত হয়েছে। গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ সামগ্রিকভাবে যে উচ্চতায় উঠেছে তাতে উত্তাল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। আজরা জেয়ার সফরের কয়েক দিন আগে জুলাই মাসের শুরুতেই বাংলাদেশ সফরে আসেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল। তারা বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়াদি নিয়ে সব অংশীজনের সঙ্গে কথা বলে। ইউরোপের প্রতিনিধিদল আসার দু-তিন দিন আগে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব এক দিনের জন্য বাংলাদেশ সফরে আসেন।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব এবার বোঝা গেছে সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস ও দিল্লিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময়। দুটি সংস্থার সদস্য না হয়েও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ আমন্ত্রণে উপস্থিত হয়ে ভাষণ দিয়েছেন এবং বিশ্বনেতাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন, কথাবার্তা বলেছেন। জাতিসংঘের ১৯৩টি দেশের মধ্যে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি দেশ এই সম্মান ও মর্যাদা পেয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এটা বৈশ্বিক অঙ্গনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রহণযোগ্যতা ও নেতৃত্বের স্বীকৃতি, আর বাংলাদেশের সক্ষমতার পরিচায়ক। ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছে এবং ব্রিকসের অন্যান্য নেতার সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে মতবিনিময় করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের পরপরই ৯-১০ সেপ্টেম্বরে ছিল দিল্লিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। জি২০ সম্মেলনের পথে এক দিনের জন্য বাংলাদেশ সফরে আসেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে বৈশ্বিক টানাপড়েন এবং বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আমাদের কিছু বন্ধু রাষ্ট্রের আগ্রহ ও অতি আগ্রহের প্রেক্ষাপটে লাভরভের সফরটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ইঙ্গিতবাহী। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন, এখনকার রাশিয়ার ভূমিকা ছিল খুবই ডিসাইডিং ও বোল্ড। রাশিয়ার সহযোগিতায় বাংলাদেশ পারমাণবিক প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করছে শিগগিরই, অক্টোবর মাসে পারমাণবিক জ্বালানির প্রথম চালান বাংলাদেশে আসবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ। একাত্তরের বিজয়ে আমাদের প্রধান এক বন্ধু হলেও স্বাধীনতার পর এবারই রাশিয়ার এত উচ্চ পর্যায়ের কেউ বাংলাদেশ সফরে এলেন। তাতে এই সময়ে বাংলাদেশের গুরুত্বটা রাশিয়ার কাছে কতখানি তার কিছু আভাস পাওয়া যায়। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পরে ঢাকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত মিডিয়ায় বলেছিলেন, ‘ফিউ ড্রপস অব ওয়াটার ডু নট মেক সি’, অর্থাৎ কয়েক ফোঁটা বৃষ্টিতেই সাগর হয়ে যায় না।

লাভরভের সফরের পরপরই দিল্লিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের একজন সিনিয়র সাংবাদিক তাঁর কলামে লিখেছেন, শেখ হাসিনা এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। জি২০-এর সদস্য না হওয়ার পরও মিডিয়ার তৎপরতায় মনে হয়েছে এই সম্মেলনের অন্যতম বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হাস্যোজ্জ্বল অভিব্যক্তিপূর্ণ সেলফির ছবি সারা বিশ্বের মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। কূটনীতিতে কথা না বলেও অনেক বার্তা দেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে। এত বড় হাই প্রফাইলের শীর্ষ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে হঠাৎ বা আকস্মিকভাবে একটি ধূলিকণাও নড়ে না, সব কিছু হয় পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে। সম্মেলনের এক ফাঁকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক শেখ হাসিনার পাশে হাঁটু গেড়ে মাতৃসম সম্মানে যেভাবে কথা বলেছেন, তা সত্যিই নজিরবিহীন। এতে বোঝা যায় বিশ্বনেতারা শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশকে কীভাবে দেখছেন।

জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের এত ব্যস্ততার মধ্যেও নিজ বাসভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা একান্ত ও আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন। আঞ্চলিক নিরাপত্তা, বিশেষ করে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস যেন আগের মতো আর কখনো মাথাচাড়া দিতে না পারে তার ওপর বিশেষভাবে বৈঠকে গুরুত্বারোপ করা হয়। বৈঠকে নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বস্ত বন্ধু ও বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেশী। জি২০ সম্মেলন শেষ করেই দুই দিনের জন্য বাংলাদেশ সফরে আসেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। প্রায় ৩৩ বছর পরে ফ্রান্সের কোনো প্রেসিডেন্ট আবার বাংলাদেশে এলেন। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট তৈরির মধ্য দিয়ে মহাশূন্য প্রযুক্তিতে ফ্রান্স এখন বাংলাদেশের প্রধান সহযোগী।

আজকের লেখায় যেসব সাম্প্রতিক ঘটনাবলির সারসংক্ষেপ তুলে ধরলাম তার প্রতি বিস্তৃত নজর দিলে সবাই দেখবেন, বিশ্বের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের ওপর। একটি উন্নয়নশীল দেশ যখন বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে তখন তার অনেক ইতিবাচক দিক থাকে, তবে নেতিবাচক দিক যে থাকে না সেটিও নয়। তাই নীতিনির্ধারকদের সতর্ক ও কৌশলী হওয়া প্রয়োজন।
লেখক: রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক