ঢেউ গণনা করে কড়ি আদায়

ড. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ
  ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৪২

প্রাক্তণ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে একটি কারণে অতুলনীয় তা আমার মতে কথা বলে অর্থ সংস্থান করার কৌশল ও ক্ষমতা। রিয়াল এস্টেট ব্যবসাতে সাফল্যের জন্য এ গুণটি থাকা দারুণ বাঞ্ছনীয়। ঝানু ব্যবসায়ী ট্র্যাম্পের মধ্যে এ গুণটির প্রাধ্যন্য রাজনীতিতে ও দারুণভাবে পরিস্পুট এবং লক্ষণীয়। আমরা অনেক সময় বলে থাকি যারা কড়ি ছাড়া আর কিছু বুঝেনা বা জীবনে গুরুত্ব দেয়না এ প্রকৃতির লোক নদীর ঢেউ গোনেও অঢেল টাকা কামাই করতে পারে ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তণ প্রেসিসেন্ট উল্লেখিত ক্ষেত্রে তুলনাহীন, অন্তত রাজনিতবিদদের কাতারে। সাম্প্রতিক তথ্য দিয়েছে ফেডারেল ইলেকশন কর্তৃপক্ষ। প্রাক্তণ প্রেসিডেন্ট নাকি তার বিরুদ্ধে আনিত মামলাসমূহের উকিল ফিসের (লিগ্যাল ফি সমূহ ) ৩০ মিলিয়ন ডলার বা সিংহ ভাগই পরিশোধ করেছেন। পত্র-পত্রিকা ঘাঁটলে সহজেই বুঝা যায় মূলত তার অন্ধ অনুসারীদের দেয়া চাঁদা বা ডোনেশন থেকেই এহেন পরিমাণ ফি পরিশোধ করা হয়েছে। কেসগুলো চলা কালীন সময়ে, এমন কি পরিসমাপ্তি পর্যন্ত এ কৌশল চলতেই থাকবে। প্রেসিডেন্ট হতে পারলে পরিশধে কোন সমস্যাই থাকবে না। তাঁর বুদ্ধির প্রশংসা করতেই হয়।


উল্লেখ্য করা হয়েছে যে ট্র্যাম্প মূলত একজন সফল রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। দরদাম প্রতিজগিতায়বা বারগেইনিং এ দক্ষতা এ পেশায় সাফল্য লাভের প্রধান উপায়। ট্র্যাম্পের রাজনৈতিক কৌশল পর্যালোচনায় স্পষ্টত দেখা যায় যে তিনি আপদকালিন সময়ে বয়া বিপর্যস্ত আর্থিক অবস্থায় অত্যন্ত ফলপ্রসূ ভাবে ফান্ড তৈরি করতে সমর্থ হয়েছেন। এমনকি কুড়তে কেস সংক্রান্ত কাজে জেকন ছুতোয় হাজির হতে পারলে তিনি এ অবস্থা ও অবস্থানকে কড়ি অর্জনে কাজে লাগিয়েছেন প্রশংসনীয় এবং অনেকের জন্য ইর্ষনীয় ভাবে। অতি সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট বাইডেন রুদ্ধদ্বার কক্ষে এক আলোচনায় কিছু প্রিয় মানুষের উপস্থিতিতে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে গালিগালাজ করেন, এমনকি ংরপশ-ভ ওয়ার্ড ও ব্যবহার করেন। করিতকর্মা ট্রাম্প এ গালিকে উপজীব্য করে ত্বরায় ফান্ড রেইজিংয়ে নেমে পরেন । তাঁর অনুসারী ও ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলেন যে সত্তর দান কর নইলে প্রতিশোধ নেয়ার কাজ আরম্ভ করা যাবে না । মনে রেখ এ গালি শুধু আমাকে নয় তোমাদের ক্ষেত্রে ও প্রযোজ্য । প্রাক্তন সেক্রেটারি অফ ষ্টেট হিলারি ক্লিনটনকেও টেনে আনে বলেন এই হীন মহিলা আমার ও তোমাদের ফরঢ়ষড়ৎধনষব বলে গালি দিয়েছিলেন। পর্যাপ্ত কড়ি না পেলে এসব গালিগালাজের জুতসই জবাব দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া যাবে না। ভক্তদের কাছে পাঠানো ই-মেইল বার্তা ছিল,” And i know with your patriotism at this very moment , WE WILL STOP HIM.” তিনি আরও বলেন, “Before the day is over, i’m calling on EVERY PATRIOT reading this message to chip in and say, I LOVE TRUMP!”
পলিটিকো রিপোর্ট থেকে নেয়া এ বার্তাটির শেষ বাক্যে বলা হয়েছে যে এমনটি করলে নির্বাচনের ফলাফল পেয়ে আমরাই হাসব। প্রাক্তণ প্রেসিডেন্ট তাঁর বিরুদ্ধে আনিত মামলাগুলো এবং ৯১টি অভিযোগ থেকেই সফলতার সাথে কড়ি আদায় করতে সমর্থ হবেন এ বিষয়ে দ্বিমত থাকার কোন কারণ নেই।