পাহাড়ে গড়ে উঠুক সম্প্রীতির সুবর্ণ সেতু

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. বায়েজিদ সরোয়ার, এনডিসি (অব.)
  ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪১

হঠাৎ করেই পাহাড় অশান্ত হয়ে উঠল। আবার সবুজ পাহাড়ের ভেতর দিয়ে বইছে হিংসার প্রবল ঝরনাধারা। গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে গণপিটুনিতে এক বাঙালি যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বা পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ও সহিংসতামূলক ঘটনা ঘটে। এতে চারজন পাহাড়ি তরুণ নিহত হয়।
দীঘিনালা বাজারে শতাধিক দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে যায়। রাঙামাটির বনরূপা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এমনকি মসজিদ, বৌদ্ধ মন্দিরেও আক্রমণ করা হয়। মনে হয়, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি পাহাড়ি-বাঙালির বিরোধ ও অবিশ্বাসের বারুদে ঠাসা।
পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমানে পাহাড়ি ও বাঙালির সংখ্যা প্রায় সমান। তাদের একসঙ্গেই বসবাস করতে হবে। প্রায় ৮০ শতাংশ বাঙালির জন্ম হয়েছে পাহাড়ে। তাই বিরোধ বা হিংসার পরিবর্তে সম্প্রীতির সেতু তৈরি করতে হবে।
সাম্প্রদায়িক বিরোধ কত জঘন্য পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে ভারতের মণিপুর এর জ্বলন্ত উদাহরণ। এই তিক্ত সম্পর্ক থেকে কিভাবে উত্তরণ ঘটানো যায়, কিভাবে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করা যায়, তা নিয়ে আমাদের গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে এবং কাজ করতে হবে।
সহিংসতামূলক পার্বত্য চট্টগ্রামে একসময় পাহাড়ি-বাঙালি সৌহার্দ্যপূর্ণ ও প্রীতিময় সম্পর্ক বজায় ছিল। পাহাড়ে দীর্ঘদিন চাকরির সুবাদে স্থানীয় পাহাড়ি-বাঙালি মুরব্বিদের কাছে এ রকম অনেক গল্প শুনেছি। বিশেষত কাপ্তাই বাঁধ তৈরির আগে রাঙামাটি শহরে পাহাড়ি-বাঙালির সুন্দর সম্পর্কের অনেক গল্প চালু ছিল।
ব্রিটিশ আমলে চট্টগ্রামের ‘ভাস্যান্যা বেপারীরা’ নৌকা ভর্তি করে মালপত্র (বিশেষত কেরোসিন ও লবণ) নিয়ে পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেত। ব্যবসা-বাণিজ্য মূলত বাঙালিরাই করত। বাঙালি শিক্ষকরা, বিশেষত হিন্দু ও বড়ুয়া শিক্ষকরা দুর্গম পাহাড়ি এলাকার স্কুলে শিক্ষা দান করতেন। জুম চাষে অভ্যস্ত পাহাড়িদের হালচাষে পরিচিত করেছিলেন সমতল থেকে আসা বাঙালি কৃষকরা। উভয়েই একে অন্য থেকে গ্রহণ করে বিকশিত হয়েছে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. আনন্দ বিকাশ চাকমা লিখেছেন, পুরো ব্রিটিশ আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামে আন্ত নৃগোষ্ঠী ও পাহাড়ি-অপাহাড়িদের মধ্যকার সামাজিক-অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিল সৌহার্দ্যপূর্ণ। পাকিস্তান আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামে অপাহাড়ি জনসংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়তে থাকে মাইগ্রেশন, শিল্পায়ন, আধুনিকায়নের ফলে কিংবা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির স্বাভাবিক ফল হিসেবে। এতেও আগেকার হৃদ্যতাপূর্ণ সামাজিক সম্পর্কে কোনো ফাটল ধরেনি। মৌলিক গণতন্ত্রের যুগে (১৯৬০) রাঙামাটি ইউনিয়ন কাউন্সিলে চেয়ারম্যান পদে একজন বাঙালি মুসলিম প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য চাকমা রাজা (ত্রিদিব রায়) স্বয়ং প্রচারণা চালিয়েছেন। ...১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং অব্যবহিত পর থেকে অপাহাড়িদের (বাঙালি) সঙ্গে পাহাড়িদের টানাপড়েন সৃষ্টি হয় (কার্পাস মহল থেকে শান্তিচুক্তি—পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয় নীতির ইতিহাস)।
১৯৭৬ সাল থেকে শান্তিবাহিনী সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করে। শান্তিবাহিনীর এই সশস্ত্র বিদ্রোহ বা ইন্সারজেন্সি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় বহুমুখী কর্মকাণ্ড বা কাউন্টার ইন্সারজেন্সি পরিচালনা করে। সেনাবাহিনীসহ নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে শান্তিবাহিনীর যুদ্ধ ব্যাপক আকার ধারণ করলে ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাঙালি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে অনেক বিতর্ক ও সমালোচনা আছে। তবে পাহাড়িদের জাতি পরিচয়কে ক্ষতিগ্রস্ত করার কোনো পরিকল্পনা তৎকালীন সরকার করেনি।
পুনর্বাসিত বাঙালিদের ওপর শান্তিবাহিনী আক্রমণ শুরু করলে এর প্রতিক্রিয়ায় কোনো কোনো স্থানে বাঙালিরাও পাহাড়িদের ওপর আক্রমণ করে। ভূমি নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। এর ফলে পাহাড়ি-বাঙালির মধ্যে ব্যাপক সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এভাবে মূলত গত আশির দশকে পাহাড়ি-বাঙালির সম্পর্ক খুব খারাপ হতে থাকে।
একটি জনগোষ্ঠী অন্য জাতির ধ্যান-ধারণা, ব্যক্তি, সংস্কৃতি থেকেও অনুপ্রাণিত হতে পারে। নাগরিক পরিচয়ে আমরা বাংলাদেশি। এই মহাগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি কিন্তু পাহাড়ের অবিসংবাদিত নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা (এম এন লারমা) ১৯৭২ সালে সর্বপ্রথম উচ্চারণ/প্রস্তাব করেছিলেন। বাংলাদেশ গণপরিষদ বৈঠকে (৩১ অক্টোবর ১৯৭২) এম এন লারমা বলেন, “আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা আমাদের ‘বাংলাদেশি’ বলে মনে করি এবং বিশ্বাস করি। কিন্তু ‘বাঙালি’ নয়।” অবশ্য পরবর্তী সময়ে এম এন লারমা বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেন।
চাকমা রানি বিনীতা রায় ছিলেন কলকাতার ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা কেশব চন্দ্র সেনের পুত্র ব্যারিস্টার সরল সেনের প্রথমা কন্যা। চাকমা রাজা নলিনাক্ষ রায়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তিনি চাকমা রাজা ত্রিদিব রায়ের মা ও বর্তমান চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়ের দাদি। ১৯৩৬ সালে বিনীতা রায়ের বিশেষ উদ্যোগে প্রকাশিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম সাহিত্য পত্রিকা গৈরিকা। এই নামটি রেখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই পত্রিকাটি তৎকালীন সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে সাহিত্যচর্চার প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিল।
একঝাঁক নিবেদিতপ্রাণ বাঙালি লেখক-সাহিত্যিক-গবেষক পাহাড় আর পাহাড়ের মানুষ ভালোবেসে আন্তরিকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে লিখেছেন ও লিখছেন। তাঁদের অনেকে পাহাড়িদের দুঃখকষ্ট ও সংগ্রামের কথা তুলে ধরেছেন।
বাংলাদেশি হিসেবে আমরা একে অন্যের কৃতিত্বে আনন্দিত হই। অমিত চাকমা বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার ভাইস চ্যান্সেলর। মেজর জেনারেল অনুপ কুমার চাকমা মায়ানমারে আমাদের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। নব্বইয়ের দশকে রাঙামাটির কাউখালীতে চাকরি করার সময়ের একটি ঘটনা। সেখানে বিকেলে মাঝেমধ্যে ফুটবল খেলা হতো। স্থানীয় পাহাড়ি-বাঙালিও আমাদের সঙ্গে খেলত। তখন কখনো ভাবিনি, একদিন পাশের গ্রামেই ঋতুপর্ণা চাকমার মতো বিখ্যাত ফুটবলার তৈরি হবে। জুরাছড়ির বক্সার সুরকৃষ্ণ চাকমা এখন সমগ্র বাংলাদেশের গৌরব।
তবে পাহাড়ে সব কিছুই কিন্তু বিভক্ত নয়। গত আগস্টের বন্যায় খাগড়াছড়ি প্লাবিত হয়ে বিপর্যয়ে পড়ে লক্ষাধিক মানুষ। বিপন্ন মানুষকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে থেকেও অনেক ত্রাণ এসেছিল। তখন কে পাহাড়ি, কে বাঙালি সেসব বিবেচনা ছিল না। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা কার্যক্রম একসঙ্গে হচ্ছে। উৎসবে, পূজা-পার্বণে, মেলায়, বিজুতে, রাজপুণ্যাহে পাহাড়ের মানুষের মাঝে কোনো ভেদাভেদ থাকে না।
আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ থাকা উচিত নয়। ১৯৭১-এর ১৭ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় রাঙামাটি ডিসি অফিসে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা তোলেন রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের ছাত্র, তরুণ মুক্তিযোদ্ধা মনীষ দেওয়ান। ৫৪ বছর পর সেই মনীষ এখন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল। গত ১৪ সেপ্টেম্বর সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অবদান ও ভূমিকা নিয়ে রাওয়া একটি সেমিনার আয়োজন করে। সেমিনারটি সঞ্চালন করেছিলেন লে. কর্নেল মনীষ দেওয়ান। কী তেজোদীপ্ত, সাবলীল স্পষ্ট উচ্চারণ। রাঙামাটি পাহাড়ের এই কর্নেল অবলীলায় হয়ে ওঠেন সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর।
বর্তমানে পাহাড়ি-বাঙালি সম্পর্কে অনেক তিক্ততা রয়েছে। উভয়ের রয়েছে হত্যাকাণ্ড-দাঙ্গা-নির্যাতন-হামলা-বঞ্চনা-উদ্বাস্তুকরণের বীভৎস স্মৃতি। তবে সংখ্যালঘু হিসেবে পাহাড়িদের দুঃখকষ্ট, বেদনা সম্ভবত অনেক বেশি। এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার ট্রমা-স্মৃতি কাটিয়ে দুই সম্প্রদায়ের সম্পর্কোন্নয়ন, সৌহার্দ্য স্থাপন সহজ নয়। তবু আমাদের নতুনভাবে শুরু করতে হবে। বিশেষত নতুন প্রজন্মকে এ নিয়ে ভাবতে হবে।
পাহাড়ে শান্তির জন্য সরকারকে এখন শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও ভূমি বিরোধ নিরসনে কাজ করতে হবে। বাঙালিদের ক্ষোভের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া দরকার। একই সঙ্গে পাহাড়ের নিরাপত্তা ফোকাসে রাখতে হবে। 
দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন এবং বিদ্যমান দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য নিচে আলোচিত কিছু পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। পাহাড়ে আন্তঃসাম্প্রদায়িক সংলাপের প্রসার খুবই প্রয়োজন। স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে হবে। এখানে শিক্ষকরা অসাধারণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। প্রয়োজন ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং পারস্পরিক সহযোগিতামূলক প্রকল্প। উভয় সম্প্রদায়ের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা কঠোর বাস্তবায়ন প্রয়োজন। সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। খাগড়াছড়ির ঘটনাটি চরম সহিংসতার দিকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে ‘গুজব’।
রাজনৈতিক নেতৃত্ব, স্থানীয় নেতৃত্ব ও প্রথাগত নেতৃত্বের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। গণমাধ্যমের অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভূমিকা রয়েছে। প্রশাসন, নিরাপত্তা বাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে অবশ্যই নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় গুরুত্বপূর্ণ। পাহাড়ের ধর্মীয় গুরু, ভান্তে, ইমাম, আলেম ও ফাদাররা বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারেন। একাডেমিয়া এখানে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।
এই বিষয়ে ড. আনন্দ বিকাশ চাকমা দুটি সুপারিশ করেছেন। প্রথমত, পার্বত্য অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনা, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত ভুলে কর্মোপযোগী (ওয়ার্কেবল) জাতিগত সহাবস্থান নিশ্চিতকরণে জাতীয় নীতি হিসেবে জাতিগত সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদের ধারণা গ্রহণ, প্রচার-প্রসারের উদ্যোগ। দ্বিতীয়ত, অতীতের সেই সব সম্প্রীতিসাধক ঘটনা ও ঐতিহ্য আলোচনা বা চর্চা করা দরকার, যা থেকে পাহাড়ি-বাঙালি উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে শ্রদ্ধা, প্রীতি এবং ঐক্যের ভাব বৃদ্ধি পায়। জাতীয়ভাবে একটি ‘আন্তঃসম্প্রদায় সদাচরণ’ নীতিমালা প্রণীত হতে পারে।
আমাদের জনগণ এখন নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে। এর অন্যতম স্পিরিট হলো রিকনসিলিয়েশন ও ইনক্লুসিভনেস। এই দুটি বিষয় পাহাড়ে খুবই প্রয়োজন। পাহাড়ের পাহাড়ি-বাঙালি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে, সবাইকে সমমর্যাদায় অভিষিক্ত করে আমরা একত্রে হাঁটব। কেউ যেন পিছিয়ে না পড়ে। বহুত্ববাদ, সম্প্রীতি ও সহনশীলতা হোক বাংলাদেশের আত্মা। উদার বাংলাদেশের বৈচিত্র্যের মধ্যে আমাদের সব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও জনজাতির সুরভিত ফুল ফুটুক। বিরোধের বাঁধ নয়, পাহাড়ে গড়ে উঠুক উভয় সম্প্রদায়ের সম্প্রীতির সুবর্ণ সেতু। শান্তি নামুক সবুজ পাহাড়ে।
 লেখক : গবেষক ও বিশ্লেষক
[email protected]
 সূত্র : কালের কণ্ঠ