নিউইয়র্ক সিটির ‘এলিট স্কুল’ হিসেবে পরিচিত ব্যয়বহুল প্রাইভেট স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিটি। সিটির প্রাইভেট স্কুলগুলোর বেশি ভাগই ম্যানহাটনের উচ্চ পূর্ব দিকে অবস্থিত, যেসব স্কুলে প্রতিটি শিক্ষার্থীর বার্ষিক টি্যুউশন ফি গড়ে ৬৫ হাজার ডলার, এবং একজন স্কুল শিক্ষার্থীর জন্য এত বিপুল ব্যয় করতে পারা অভিভাবকরাই যে নিউইয়র্ক সিটির প্রকৃত ধনবান ব্যক্তি, যা তাদেরকে সিটির সাধারণ মানুষদের চেয়ে পৃথক করেছে। সরকারি হিসেবে প্রায় ৮৫ লাখ অধিবাসী সমৃদ্ধ নিউইয়র্ক সিটিতে খুব অল্পসংখ্যক ধনী অবিভাবকের পক্ষেই তাদের সন্তানদের এসব স্কুলে পড়ানো সম্ভব হয়। নিউইয়র্ক টাইমসের এক রিপোর্ট অনুসারে দেশের সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ উপার্জনকারী অভিভাবকদের জন্য নিউইয়র্ক সিটি আংশিক আর্থিক সহায়তা দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
লেম্যান ম্যানহাটান প্রিপারেটরি স্কুলের টিউশন ফি এর চার্ট থেকে দেখা যায় যে যেসব পরিবারের বার্ষিক আয় অন্তত ৬ লাখ ডলার, এবং এমন পরিবারের দুজন সন্তান যদি এ ধরনের প্রাইভেট স্কুলে পড়ে তাহলে তারা সিটির কিছু আর্থিক সহায়তার যোগ্য হতে পারে। যেসব পরিবারের ৩টি সন্তান কোনো প্রাইভেট স্কুলে পড়ে এবং তাদের বার্ষিক আয় অন্তত ৮ লাখ ডলার হয়, তাহলে তারা আর্থিখ সহায়তা পেতে পারে। লেম্যান ম্যানহাটান প্রিপারেটরি স্কুলের অধিকাংশ গ্রেডের শিক্ষার্থীর বার্ষিক ফি ৬৭,৩০০ ডলার।
নিউইয়র্ক সিটির সর্বোচ্চ আয়কারী ব্যীক্তদের বার্ষিক গড় আয় এক মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। সিটির যেসব অধিবাসীর কিছু আর্থিক সঙ্গতি আছে এবং যাদের সঙ্গতি অনেক বেশি, তাদের মধ্যে আর্থিক বিভাজন প্রকৃত অেের্থ সিটিতে এ ধরনের বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। তাছাড়া এ বিভাজন সিটির মধ্যবিত্ত শ্রেনির মধ্যেও এক মানসিক দ্বন্দ্বের কারণ ঘটিয়েছে। প্রাইভেট স্কুলগুলোকে অনেক পরিবার দেশের শীর্ষস্থানীয় ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি এবং সামাজিক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ সিঁড়ি হিসাবে দেখে। নিউইয়র্ক সিটির প্রাইভেট স্কুলে পড়াশোনা করেছে এমন কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যে বর্তমান সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেনও রয়েছেন; জেপি মরগান চেজের প্রধান নির্বাহী জেমি ডিমন এবং রকফেলার ও কেনেডি পরিবারের বেশ কয়েকটি প্রজন্ম।