ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসীদের গণ বিতাড়নে যুক্তরাষ্ট্রে ব‍্য‍াপক সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছে আইস সহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। ইতিমধ্যে গত ১ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে প্রায় ৩ হাজারের বেশি নিবন্ধনহীন, অপরাধে অভিযুক্ত অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার হয়েছেন। মঙ্গলবার নিউইয়র্কের জ‍্যাকসন হাইটসের একটি বাসা থেকে অভিযান চালিয়ে শিব্বির আহমদ নামে বাংলাদেশি এক যুবককে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস)। এ ঘটনায় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছে।
ঐ যুবকের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায়।
ফক্স নিউজ, এবিসি নিউজ ও নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে জানা গেছে, ট্রাম্পের শপথের পরদিন থেকে ইউএস হোমল‍্যান্ড সিকিউরিটি এবং ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট এর পূর্ব নির্ধারিত অবৈধ অভিবাসী বিরোধী ‘অপারেশন সেফগার্ড’ অভিযান শুরু হয়। এরই অংশ হিসেবে টেক্সাস, ফ্লোরিডা, বস্টন, ইলিনয়েস, জর্জিয়া, নিউজার্সী ও নিউইয়র্কসহ বেশ কয়েকটি স্টেটের স‍্যাংচুয়ারি (অভিবাসীদের অভয়াশ্রম) সিটিতে এ অভিযান ব‍্যাপকভাবে চালানো হচ্ছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ ভাবে অবস্থানরত গ‍্যাং সদস‍্য, যৌন নিপিড়ক, হত‍্যা মামলায় অভিযুক্ত কয়েক শতাধিক অপরাধীসহ আনডকুমেন্টেড অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ‍্যে কয়েক শতাধিক অভিবাসীকে তাদের দেশে পাঠানো হয়েছে। তবে এসব গ্রেপ্তার ও বহিষ্কারকৃতদের সবাই মেক্সিকো, গুয়েতামালা, কলোম্বিয়া ও ব্রাজিলের নাগরিক ছিলেন। নিউইয়র্কে রোববার থেকে অভিযান শুরু হলেও মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে ডিপার্টমেন্ট অব হোমল‍্যান্ড সিকিউরিটির সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোওমের নেতৃত্বে আইস, এটিএফ, ডিইএ ব‍্যাপক অভিযান চালায়। এতে অপরাধীসহ বেশ কয়েকজন অবৈধ অনথিভূক্ত অভিবাসী ছিলেন। জ‍্যাকসন হাইটসে ভোর ৬টার দিকে একটি বাসায় অভিযান চালায় আইস। সেখানে পুরো বাসায় অবস্থানরত বাসিন্দাদের আইডি চেক করে আইস। এর মধ‍্যে তাদের কাছে তথ‍্য ছিলো ঐ বাসায় অনিবন্ধিত এক অভিবাসী রয়েছেন। বেশকিছু সময় সেই বাসার সামনে অবস্থান করে আবারো বাসায় প্রবেশ করে অনিবন্ধিত অভিবাসী শিব্বিরকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঐ যুবককে কোথায় আটক রাখা হয়েছে সে সন্ধান পাননি নিউইয়র্কে অবস্থানরত তাঁর স্বজনরা।