ডিপোর্টেশনের শিকার হলেন দুই বাংলাদেশি

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৫ মার্চ ২০২৫, ১৪:০৬

ট্রাম্পের গণ ডিপোর্টেশনে কার্যক্রমে এবার দুই বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানোর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একজন শিক্ষার্থীকে ও আইস এর ডিটেনশনে থাকা এক ব্যক্তিকে সম্প্রতি বাংলাদেশে ডিপোর্টেশন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার জেএফকে এয়ারপোর্ট থেকে একজন শিক্ষার্থকে এবং গত শুক্রবার ডিটেনশনে থাকা ৩৫ বছর বয়সী একজন ব্যক্তিকে দেশে পাঠানো হয়।
নিউইয়র্ক সিটির একটি লো অফিসের সূত্রে জানা যায়, ম্যানহাটনের একটি লো অফিসের ক্লায়েন্ট ছিলেন ৩৫ বছর বয়সী একজন বাংলাদেশি ব্যক্তি। তিনি এদেশে আনডকুমেন্টেড অবস্থায় ছিলেন। সম্প্রতি তাঁকে গ্রেপ্তার করে আইস এর প্যানসিলভেনিয়ার ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়। তাকে গ্রেপ্তারের পর লো অফিস তাকে আদালতের মাধ্যমে মুক্ত করার জন্য আবেদন করে। কিন্তু আইস কর্তৃপক্ষ ওই ব্যক্তির ডিপোর্টেশন অর্ডার ও এদেশে আনডকুমেন্টেড থাকায় তাকে শুক্রবার একটি এয়ার ফ্লাইটে ডিপোর্টেশন করে।
ওই ব্যক্তির এক স্বজন তাঁর ও ডিপোর্টেশনপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলা পত্রিকাকে জানান, তিনি এদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছিলেন। কিন্তু কোন রুট দিয়ে আমেরিকায় প্রবেশ করেছিলেন সেটির প্রমাণ পত্র না থাকায় এদেশে আনডকুমেন্টেড অবস্থায় ছিলেন বেশ কয়েক বছর। তিনি জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে এদেশে চিকিৎসাও নিয়েছিলেন। গেপ্তারের পর বেশ কয়েকদিন তিনি আইস ডিটেনশনে ছিলেন। সর্বশেষ এটর্নী দ্বারা তার মুক্তির চেষ্টা করা হয়েছিলো। ডিপোর্টেশন অর্ডার ও আনডকুমেন্টেড হওয়ায় তাকে একটি ফ্লাইটে করে দেশে পাঠানো হয়। এ সময় তার সাথে একই ফ্লাইটে আইস এর ডিপোর্টেশন প্রক্রিয়ার আরো একাধিক ব্যক্তিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে জানান তিনি। তবে তারা কোন দেশের সে বিষয়টি তিনি নিশ্চত করতে পারেননি।
এদিকে গত মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ থেকে জেএফকে এয়ারপোর্টে আসার পর একজন স্টুডেন্ট ভিসাধারী শিক্ষার্থীকে তার ভিসা বাতিল করে পাঠানো হয়েছে। ফ্লোরিডার একটি ভার্সিটির স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে আসেন। তখন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা তার ভিসা বাতিল করে ফিরতি ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেন। এর আগে গত মাসে স্টুডেন্ট ভিসা শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে ৩ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে দেশে ফেরত পাঠানোর খবর পাওয়া গিয়েছিলো।
এটর্নী মঈন চৌধুরী নিজের ফেসবুক আইডিতে ভিযিও বার্তায় বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে আসা শিক্ষার্থীদের অবশ্যই স্টুডেন্ট ভিসার শর্ত মেনে চলতে হবে। কারণ এখন ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে খুবই কঠোর অবস্থানে রয়েছে।