নিউইয়র্কের কাউন্সিল মেম্বার পদে দ্বিতীয়বারের মতো জয়ী হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত প্রার্থী শাহানা হানিফ। নিউইয়র্কের ৩৯ ডিস্ট্রিক্টের কাউন্সিল ওম্যান হিসেবে টানা দ্বিতীয় জয় পাচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দিনভর ভোটাভোটির পর প্রাথমিক গণনায় এগিয়ে রয়েছেন শাহানা। তার এগিয়ে থাকা অনেকটাই তার জয় নিশ্চিত করছে। আর তাতে পুনর্নিবাচিত হওয়ার নিশ্চয়তায় শাহানা হানিফ প্রতিক্রিয়ায় ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। ভোটের স্বেচ্ছাসেবি ও সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, তারাই আমার এই বিজয় সম্ভব করে তুলেছে। নেইবারহুডের ঘরে ঘরে গিয়ে তারা এই নির্বাচনের তহবিল সংগ্রহ করেছেন, তৃণমূল পর্যন্ত প্রচার চালিয়েছেন যাতে সিটি হলে একজন প্রগতিশীল নেতৃত্ব পাঠানো সম্ভব হয়। শাহানা বলেন, আজ আমরা জয়ী হয়েছি। এবং কমিউনিটি নিঃসন্দেহে আরও দুই বছর তাদের প্রতিনিধি হিসেবে সিটি কাউন্সিলে একজন সাহসি, প্রগতিশীল প্রতিনিধিকে দেখতে পাবেন।
শাহানা হানিফ বলেন, তিন বছর আগে যখন আমি আমার প্রচারকাজ প্রথম শুরু করি, আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, আমি কমিউনিটিকে তথা গোটা সিটিকে বদলে দিতে কাজ করবো। আর আজ আমি গর্বের সাথে বলতে চাই, আমরা সেটা করতে পেরেছি।
আমার প্রথম মেয়াদে কিছু আইন পাশ করিয়ে আনতে পেরেছি যার মাধ্যমে জাতির সবচেয়ে বড় কার্বসাইড কম্পোস্টিং প্রগ্রাম চালু হয়েছে। ১ মিলিয়ন ডলারের বরাদ্দ দিয়ে নিউইয়র্ক সিটির নিম্ন-আয়ের মানুষের যারা গর্ভপাত করাতে চেয়েছে তাদের সহায়তা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও সিটির প্রথম ইমিগ্র্যান্ট ওয়ার্কার বিল অব রাইট আমিই তৈরি করেছি। কমিউনিটির কাছে আমি এক নিরলস চ্যাম্পিয়ন, তবে আমি জানি আমাদের অনেক কাজ এখনো বাকি। এখনো আমাদের পাবলিক স্পেস থেকে বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে, অ্যান্টিসেমিটিজমের বিরুদ্ধে লড়তে হবে আর মেয়র অফিসের ঘোষণা করা ৩০-৬০ দিন শেল্টার হোমে থাকার সময় সীমিত করার বিরুদ্ধে লড়তে হবে।
কাউন্সিল মেম্বার শাহানা হানিফ ব্রুকলিনের ৩৯তম ডিস্ট্রিক্ট'র একজন কাউন্সিল মেম্বার এবং কাউন্সিল ইমিগ্রেশন কমিটির চেয়ার। ব্রুকলিনের কেনসিংটনে জন্ম নেওয়া শাহানা দুই বাংলাদেশি অভিবাসীর সন্তান। পিএস ২৩০ হয়ে পরে ব্রুকলিন কলেজে লেখাপড়া করেন শাহানা হানিফ।