কুইন্স কমিউনিটি বোর্ড মেম্বারপদে আবেদন গ্রহণ শুরু 

উত্তর আমেরিকা
  ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৬

আবেদন গ্রহন শুরু হয়েছে কইন্স কমিউনিটি বোর্ড মেম্বারপদে। আবেদন গ্রহনের শেষ তারিখ আগামী ১৬ ফেব্রয়ারি। এ বছর ১৪টি বোর্ডেই মেম্বার পদে নিয়োগ দেয়া হবে। প্রত্যেকটি কমিউনিটি বোর্ডের সদস্য সংখ্যা ৫০ জন। ২ বছর মেয়াদে নির্বাচিত সদস্যরা আগামী ১ এপ্রিল থেকে দায়িত্ব পালন করবেন। যারা বর্তমানে কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তাদেরও আগামী ২ বছরের জন্য নতুন করে আবেদন করতে হবে। এ পদের জন্য বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। অনেকেই আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রায় ২৫ জন বিভিন্ন ব্যরোতে বর্তমানে কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এরমধ্যে ১৩ জনই কুইন্স কাউন্টি থেকে। তাদের অধিকাংশই জামাইকা, এস্টোরিয়া ও জ্যাকসন হাইটস এলাকা থেকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। ব্রংকস ব্যরোতে ৭ জন বাংলাদেশি প্রতিনিধিত্ব করছেন। কুইন্স ব্যরোর সদস্যের মধ্যে ৫০ ভাগ পদে ক্ইুন্স ব্যরো কুইন্স ব্যরোর সদস্যের মধ্যে ৫০ ভাগ পদে ক্ইুন্স ব্যরো প্রেসিডেন্ট ডনোভান রিচার্ডস সরাসরি নিয়োগ দেবেন। অবশিষ্ঠ ৫০ ভাগ পদে মনোনীত করেন স্থানীয় সিটি কাউন্সিল মেম্বাররা। মূলধারার রাজনীতিতে এই কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার পদে সার্ভ করাকে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত করা হয়। গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যরোতে কমিউনিটি মেম্বার হিসেবে কাজ করে আসছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন শাহ নেওয়াজ, আবু জাফর মাহমুদ,মোহাম্মদ আলী, আব্দুর রহিম হাওলাদার, ফাহাদ সোলায়মান, আমিন মেহেদী, আনাফ আলম, হারুনর রশীদ,দিলীপ নাথ, তরিকুল ইসলাম, টিপু সুলতান, নুরুল হক, মোহাম্মদ এন মজুমদার, মোহাম্মদ আলা উদ্দীন, ইব্রাহিম বারো ভূঁইয়া, আবু নোমান, ফকরুল ইসলাম দেলোয়ার ও আহসান হাবিব।
কুইন্স ব্যরো প্রেসিডেন্ট ডনোভান রিচার্ডস বলেছেন, এ বছরে ১৪টি বোর্ডেই নতুন কওে মেম্বার নির্বাচিত করা হবে। তিনি বলেন, ভলান্টারি ও আনপেইড এই পদের জন্য এথনিক ও ইমিগ্রান্ট কমিউনিটির লোকজনের আগ্রহ বাড়ছে। ২০২৩ সালে ৯৩৮টি আবেদন জমা পড়েছিল। যার অধিকাংশই ছিল ইমিগ্রান্ট কমিউনিটির সদস্য।
কমিউনিটি বোর্ডে নির্বাচিত সদস্যদের মাসিক বোর্ড ও কমিউনিটি সভায় সভায় যোগ দিতে হয়। সদস্যদের অন্যতম দায়িত্ব থাকে সংশ্লিষ্ট এলাকার জমির ব্যবহার ও জোনিং ইস্যুতে ভূমিকা রাখা। এ ছাড়া বোর্ড এলাকার আইন শৃংখলা ও সিটির বাজেট নিয়ে পাবলিক হেয়ারিং এর আয়োজন করা।