সোনালী এক্সচেঞ্জের এস্টোরিয়া শাখার স্থান পরিবর্তন হয়েছে। গ্রাহকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে নিউটাউন অ্যাভিনিউ থেকে এখন এস্টোরিয়া ৩৬ এভিনিউ সাবওয়ে সংলগ্ন জালালাবাদ ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছে। গত ১১ নভেম্বর শুক্রবার মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়। এ উপলক্ষে সেখানে এক সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণীপেশার সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
মিলাদ মাহফিলে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন এস্টোরিয়াআল আমিন মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ লুৎফর রহমান চৌধুরী। মিলাদ শেষে সোনালী একচেঞ্জ এস্টোরিয়া শাখার ব্যবস্থাপক ও প্রবাসের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী শাহ্ মাহবুব সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সোনালী এক্সচেঞ্জের প্রেসিডেন্ট ও সিইও দেবশ্রী মিত্র, কোম্পানি সেক্রেটারি এবং ম্যানহাটান শাখার ব্যবস্থাপক সাহাদাৎ হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং জ্যাকসন হাইটস শাখার ব্যবস্থাপক মো. নবাব হোসেন।
পরে এক সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় দেবশ্রী মিত্র বলেন, এস্টোরিয়াবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বাংলাদেশি কমিউনিটির সুবিধাজনক একটি স্থানে এই শাখাটি স্থানান্তর করা। আজ তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে পেরে সত্যি আমরা আনন্দিত। বর্তমানে এ শাখাটি অন্যান্য শাখার মতোই রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে বিনা ফি’তে। আর অনেক ভালো রেটও দিচ্ছে। বৈধভাবে অর্থাৎ ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা প্রেরণে প্রেরকগণকে আরও উৎসাহিত করার জন্য সোনালী ব্যাংক এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এসময় তিনি সোনালী এক্সেচেঞ্জের মাধ্যেমে টাকা পাঠানোর সুযোগ-সুবিধাগুলো তুলে ধরেন এবং এটাকে নিজেদের প্রতিষ্ঠান মনে করে সবসময় পাশে থাকার আশা প্রকাশ করেন।
উপস্থিত বাংলাদেশ কামউনিটির নেতৃবৃন্দ সোনালী এক্সচেঞ্জের সফলতা কামনা করেন এবং সর্বাত্মকভাবে এর পাশে থাকা এবং সহায়তা করার আশ্বাস দেন।
এদিকে দেশে টাকা পাঠাতে ফি নিচ্ছে না সোনালী ব্যাংকের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘সোনালী এক্সচেঞ্জ’। অর্থাৎ এখন থেকে প্রবাসীরা বিনা খরচেই সোনালী এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারছেন। বৈধভাবে অর্থাৎ ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা প্রেরণকারীদের আরো উৎসাহিত করতে সোনালী ব্যাংক এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও সোনালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে, প্রবাসীরা যাতে ছুটির দিনেও দেশে থাকা আত্মীয়-স্বজনদের কাছে অনায়াসেই টাকা পাঠাতে পারেন, সেজন্য শাখাগুলো ছুটির দিনসহ সপ্তাহে সাতদিনই খোলা রাখার ব্যবস্থা করছে। এর ফলে সোনালী এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে টাকা প্রেরণে গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। ‘সোনালী এক্সচেঞ্জ’ এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো রেটও দিচ্ছে।