বিসিএসের মাধ্যমে ক্যাডার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরিপ্রার্থীদের সামনে প্রথম ধাপ প্রিলিমিনারি টেস্ট। এতে নির্বাচিত হলে লিখিত এবং তাতে উত্তীর্ণের পর মৌখিক পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ মেলে। এতে প্রত্যেক বিসিএসে পৃথকভাবে আবেদন করতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে চলা এ প্রক্রিয়ায় আমূল পরিবর্তনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে পিএসসি।
নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী- একজন চাকরিপ্রার্থী প্রিলিমিনারি টেস্টে নির্বাচিত হলে, তাকে পরপর তিনটি বিসিএসে লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে তাকে আর আবেদন বা প্রিলিতে অংশ নিতে হবে না।
আবার প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীকে টানা তিনবার মৌখিক পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রাখতে চায় পিএসসি। বিষয়গুলো এখনো পিএসসির পরিকল্পনা পর্যায়ে।
দুটি পরিকল্পনা নিয়ে বিভিন্ন অংশীজনদের মতামত ও আলোচনার পর চূড়ান্ত করা হতে পারে। ঠিক কবে নাগাদ, এটি করা সম্ভব হবে; সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে আগামী বছর ৪৮তম বিসিএস থেকে এ পদ্ধতি অনুসরণের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছে পিএসসি সূত্র।
পিএসসির কর্মকর্তারা জানান, অনলাইনে আবেদনের সময় প্রার্থীদের ইউনিক আইডি দেওয়া হবে। এ আইডির মাধ্যমে প্রার্থীরা তাদের সব শিক্ষাগত যোগ্যতার কাগজপত্র অনলাইনে জমা দেবেন। ফলে প্রার্থীর তথ্য-উপাত্ত পিএসসির সার্ভারে জমা থাকবে।
প্রার্থী প্রিলিতে উত্তীর্ণ হলে সেই ডাটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদ হয়ে যাবে। পরে তিনি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সেটিও হালনাগাদ হবে। প্রার্থী যে কোনো সময় আইডি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করে তার তথ্য দেখতে পারবেন।
এ আইডির মাধ্যমেই একজন প্রার্থী প্রিলিতে কিংবা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন কি না, সেটি জানা যাবে।
পিএসসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম বলেন, কিছু পরিকল্পনা আমরা করেছি। এগুলো এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে সব চূড়ান্ত করা হবে। চাকরিপ্রার্থীদের সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে নিয়মগুলো চালু করা হবে।