জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছরের স্নাতক (সম্মান) কোর্স শেষ করার পরও বহু গ্র্যাজুয়েট বেকার থাকছে। যারা দেশের জন্য বোঝা হয়ে উঠছে। এ জনশক্তিকে দক্ষ ও যোগ্য করে তুলতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা) অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান চার বছরের স্নাতক (সম্মান) কোর্স তিন বছর অনার্স করা হবে। শেষে এক বছর বাধ্যতামূলকভাবে কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তারা পৃথক দুটি সার্টিফিকেট পাবে। এতে শিক্ষাজীবন শেষে গ্র্যাজুয়েটরা দেশ-বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভালো চাকরি করতে পারবেন, সেই ব্যবস্থাটা করা হবে। এটা (এক বছর কারিগরি কোর্স) বাধ্যতামূলক থাকবে।’
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ‘আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন (বিএনসিইউ) ও ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের যৌথ উদ্যোগে সভার আয়োজন করা হয়।
‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শিক্ষা: যান্ত্রিক স্বয়ংক্রিয়তার যুগে মানবসত্তা ও মানবিক ক্ষমতার স্বকীয়তা, সুরক্ষা এবং বিকাশ’ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের (আমাই) মিলনায়তনে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ও বিএনসিইউর চেয়ারম্যান ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান। আলোচক ছিলেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সেক্রেটারি জেনারেল সিদ্দিক জোবায়ের।