মর্যাদা নাকি মিথ্যাচার: নতুন গবেষণায় দেখা গেছে নিউইয়র্কে চাকরিপ্রার্থীরা তাদের রেজুমিতে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে। বিশেষ করে তাদের গ্রাজুয়েশন করা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামটাই মিথ্যা। এই তালিকায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির নাম। তালিকার প্রথম সারিতে রয়েছে হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ডের নামও। সব মিলিয়ে এমন ৩৪টি ইউনিভার্সিটি ও কলেজের নাম উঠে এসেছে যেগুলোর নাম চাকরিপ্রার্থীরা অনায়াসে লিখে দিচ্ছেন তাদের রেজুমিতে।
রেজুমিতে মিথ্যাচার নতুন কিছু নয়, আর এর বিস্তারও কম নয়। নতুন এই গবেষণা বলছে, ৫২ শতাংশ চাকরিপ্রার্থী কোনো না কোনোভাবে তাদের রেজুমিতে মিথ্যা বা বানোয়াট তথ্য ব্যবহার করে। বিশেষ করে চাকরির যোগ্যতার ক্ষেত্রে তারা ভূয়া তথ্য দেয়। কেনো? সে প্রশ্নের উত্তরের আগে বলা যেতে পারে, গবেষণায় এমনও তথ্য মিলেছে, জর্জ সান্টোসের গ্রাজুয়েট তার রেজুমিতে উল্লেখ করেছে বারুক কলেজ থেকে পাশ করার কথা। বানোয়াটেরও একটা সীমা থাকে। মোটের ওপর কথা হচ্ছে, একটি নামি কলেজ থেকে ডিগ্রির কথা জুড়ে দেওয়া হচ্ছে, যা কাল্পনিক। উদ্দেশ্য একটাই পে-চেকটা আরেকটু মোটা করে নেওয়া।
আলমা ম্যাটার তো অবশ্যই ম্যাটার করে। ইউএসডিকশননারি.কম এর নতুন গবেষষায় এ দিকটায় আলোকপাত করা হয়েছে। কেবল নিউইয়র্কের চাকরি প্রার্থীরাই যে তা নয়। গোটা যুক্তরাষ্ট্রেই এমন মিথ্যাচার চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম মিথ্যা লেখা হচ্ছে এমন ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে হার্ভার্ড-এর নাম। ৩০০০ চাকরি প্রার্থীর ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, গ্রাজুয়েশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম মিথ্যা লেখা হয়েছে এমন তালিকায় হার্ভার্ড প্রথম। এরপর কাছাকাছি অবস্থানে থেকে দ্বিতীয় হয়েছে স্ট্যানফোর্ড আর সার্বিকভাবে তৃতীয় অবস্থানে এসেছে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির নাম। যদিও কেবল নিউইয়র্কে চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয়টিই সবচেয়ে এগিয়ে। যা আইভিলিগ হিটারদেরও ছাড়িয়ে গেছে।
ইয়ালের নাম এসেছে ১১তম অবস্থানে। প্রিন্সটনের অবস্থান ১৩তম। আর এমআইটি ১৪তম। এর বাইরে নটরডেম ইউনিভার্সিটি, ডিউক ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া (লস এঞ্জেলস) যথাক্রমে চতূর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। আর পরের চারটি অবস্থান নিয়েছে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া বেকারলি, ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া, ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়া ও এমহার্স্ট কলেজ।