প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের ন্যূনতম শিক্ষাটুকু না দিতে পারলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কখনোই ভালো হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো- শিশুরা যেন মাতৃভাষা সুন্দরভাবে বুঝতে পারে; মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে; কথা বলতে ও লিখতে পারে। গাণিতিক ভাষায় যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ বুঝতে পারবে। মিনিমাম এটুকু হলে বাংলাদেশ পাল্টে যাবে। কিন্তু আমরা যদি প্রাইমারি স্কুলে এগুলো করতে না পারি, তাহলে আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ কখনোই ভালো হবে না।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাজধানীর মিরপুরে পিটিআই অডিটোরিয়ামে ‘প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষাবিষয়ক বিভাগীয় সেমিনারে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, প্রাথমিক স্কুলে শিশুরা সাক্ষরতার পাশাপাশি নৈতিক আচরণগত দিকগুলো শিখে থাকে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকলে এসব বিষয় খুব সুন্দরভাবে শিশুরা শিখতে পারে।
শিক্ষক-অভিভাবকদের উদ্দেশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষা কর্মকর্তাসহ আমাদের প্রত্যেকেরই নিজের স্বার্থেই আমাদের ভূমিকাটা আমাদের পালন করতে হবে। আমাদের শিশুদের সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। তাহলে আমাদের দেশ ভবিষ্যতে ভালোর দিকে এগোতে পারবে।
বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিট দিনব্যাপী এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে ৫০ জন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তা অংশ নেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবু নূর মো. শামসুজ্জামান ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক তসলিমা আক্তার।