গ্রীস্মে ২১ দেশে ভ্রমণ না করার পরামর্শ যুক্তরাষ্ট্রের 

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৮ মে ২০২৫, ১৪:৫৩

গ্রীষ্মকাল প্রায় শুরু হতে চলেছে, আর এর সঙ্গে আসছে সুপরিকল্পিত পারিবারিক ভ্রমণের মৌসুমÑ যেখানে অনেকেই বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে যারা এখন তাঁদের ভ্রমণ পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন, তাদের কিছু আন্তর্জাতিক গন্তব্যের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জারি করা বিভিন্ন সতর্কবার্তাও বিবেচনায় নেওয়া উচিত। সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর উত্তর কোরিয়া ও বুরকিনা ফাসো সফরের বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করেছে। এই ঘোষণার ফলে এখন মোট ২১টি দেশ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সতর্কবার্তার আওতায়-স্তর ৪: ভ্রমণ করবেন না বা ‘ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন’।
বিশেষভাবে, উত্তর কোরিয়ায় ভ্রমণ নিয়ে সতর্ক করে বলা হয়েছে, “গ্রেপ্তার, দীর্ঘমেয়াদি আটকের ঝুঁকি ও অন্যায়ভাবে আটক হওয়ার আশঙ্কা এখনও গুরুতরভাবে বিদ্যমান।” যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় জরুরি অবস্থায় মার্কিন নাগরিকদের সরাসরি সহায়তা দেওয়ার সুযোগ নেই বলেও জানিয়েছে পররাষ্ট্র দফতর। একইভাবে, পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসো নিয়েও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে, যার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে ‘সন্ত্রাসবাদ, অপরাধ ও অপহরণ।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর জানায়, “সন্ত্রাসীরা সামান্য বা কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই যেকোনো স্থানে হামলা চালাতে পারে এবং তারা সাধারণ ব্যবসায়িক পণ্য বা মুক্তিপণের জন্য অপহরণের মতো কৌশল ব্যবহার করতে পারে।” উত্তর কোরিয়া ও বুরকিনা ফাসো উভয় দেশই এখন যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্তর ৪’ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে, যা মার্কিন নাগরিকদের জন্য পৃথিবীর অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ গন্তব্য হিসেবে বিবেচিত। যুক্তরাষ্ট্র আরও বেশ কিছু দেশের ক্ষেত্রেও অনুরূপ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ইয়েমেন, ইরান, সিরিয়া, আফগানিস্তান, ইরাক, ইউক্রেন, হাইতি, ভেনেজুয়েলা, সোমালিয়া, রাশিয়া ও কঙ্গোর গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র। যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ সতর্কতার চারটি স্তর রয়েছে: স্তর ১: স্বাভাবিক সতর্কতা অবলম্বন করুন, স্তর ২: অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করুন, স্তর ৩: ভ্রমণ পুনর্বিবেচনা করুন এবং স্তর ৪: ভ্রমণ করবেন না।