২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় শূন্য পাসের প্রতিষ্ঠান ৪২টি। অর্থাৎ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কেউই কৃতকার্য হতে পারেননি। অন্যদিকে দেশের ৯৫৩টি প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাসের গৌরব অর্জন করেছে।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষাসচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবসহ বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা স্ব-স্ব বোর্ডের ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে।
২০২২ সালের তুলনায় এবছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৪২টি। এবছর মোট ৯ হাজার ১৮৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়। তারা দেশের মোট ২ হাজার ৬৫৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয়।
প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শূন্য পাসের প্রতিষ্ঠান গতবছরের তুলনায় কিছুটা কমেছে। গতবছর ৫০টি প্রতিষ্ঠানে কেউই পাস করতে পারেনি।
তবে কমেছে শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠানও। গতবছর ১ হাজার ৩৩০ শতভাগ পাসের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। তা থেকে কমে এবার ৯৫৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাভাগ শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে।
এবছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড মিলিয়ে গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪। এরমধ্যে সাধারণ ৯ শিক্ষা বোর্ডের গড় পাসের ৭৫ দশমিক ৯০। সাধারণ এই শিক্ষা বোর্ডগুলোর মধ্যে পাসের হারে সবচেয়ে এগিয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড। এই বোর্ডের শতকরা ৮০ দশমিক ৬৫ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।