বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলবে: হাইকোর্ট

নিজস্ব সংবাদদাতা
  ০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫০
আপডেট  : ০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৩

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতি চলবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার দুপুরে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জরুল হক।
এর আগে বুয়েট শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে শিক্ষা সচিব, বুয়েটের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে ২০১৯ সালে আবরার ফাহাদ নামে এক শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়। তখন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। বুয়েটের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,‘সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রম কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে নিষিদ্ধ করা হলো। ’ এরপর থেকে বুয়েটে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ রয়েছে।  
তবে বৃহস্পতিবার গভীররাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, দপ্তর সম্পাদকসহ অনেকেই বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। পুরকৌশল বিভাগের ২১তম ব্যাচের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম এ সমাগম ঘটান বলে অভিযোগ করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন।  
এরপর শুক্রবার রাতে বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ফোরকান উদ্দিনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৮ মার্চ মধ্যরাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘটিত ঘটনার প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ১. বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের (স্টুডেন্ট নম্বর ২১০৪১৪১) হলের সিট বাতিল করা হলো। ২. এছাড়া সার্বিক বিষয়ে তদন্তপূর্বক সুপারিশ প্রদান করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং ৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর টার্মসেমিস্টার ফাইনালসহ সকল অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এদিকে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চালু চেয়ে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগ। এর মধ্যে বুয়েট ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধে ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবরের বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। আবেদনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।