মে মাস চলছে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা এবার ডিগ্রি লাভ করেছেন, তাদের জন্য সময়টি আনন্দের। সেই সঙ্গে তাদের পরিবারের জন্যও আনন্দের। অনেকেই কলেজ-জীবন শেষ করে কর্মজীবন শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান। স্টুডেন্টরা কেউ কেউ ব্যাচেলর করছেন, কেউ করছেন মাস্টার্স কিংবা এমবিএ। কেউ কেউ আবার প্রফেশনাল ডিগ্রি অর্জন করছেন। সেই সঙ্গে অনেকেই অর্জন করছেন পিএইচডি ডিগ্রি। যেসব পরিবারের সন্তানেরা এসব ডিগ্রি অর্জন করেছেন, তাদের ঘরে এখন খুশির জোয়ার বইছে। বাংলাদেশি কমিউনিটির স্টুডেন্টরাও অত্যন্ত ভালো ফলাফল করেই কলেজ পাস করছেন। যারা এবার ব্যাচেলর করেছেন, তাদের বেশির ভাগই চাকরি পেয়ে গেছেন কলেজ শেষ করার সঙ্গে সঙ্গেই। যারা পাননি তারা চাকরি খুঁজছেন। সেই সঙ্গে অনেকেই ল’ স্কুলে যাচ্ছেন। পাশাপাশি অনেকেই ফার্মাসি পাস করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবারের গ্র্যাজুয়েশন সিরোমনি অন্যান্য বারের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। কারণ এবার ফিলিস্তিন যুদ্ধ ও সেখানে নির্বিচারে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলন চলছে। যে কারণে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় তাদের গ্র্যাজুয়েশন সিরিমনি বড় না করে ছোট পরিসরে করেছে। ভাগ ভাগ করে করছে। অনেক কলেজে স্টুডেন্টদের বক্তৃতায় উত্তেজনা সৃষ্টির আশঙ্কায় স্টুডেন্টদের বক্তৃতাও রাখা হয়নি।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশি কমিউনিটির অনেক স্টুডেন্টই পাস করেছেন। গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে যাচ্ছেন। একেকটি অনুষ্ঠানে একজন ডিগ্রিধারীর পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের জন্য আট থেকে দশ জন অতিথি যোগ দিচ্ছেন। কোনো কোনো কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি সংখ্যা ভিন্ন রয়েছে।
ছাত্র আন্দোলনের বিষয়টি মাথায় রেখে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত সিকিউরিটি অফিসার মোতায়েন করা হয়েছে। বসানো হয়েছে আর্চওয়ে এবং এর পাশাপাশি অতিরিক্ত সিসি ক্যামেরাও বসানো হয়েছে। একাধিক কলেজে বাড়তি নিরাপত্তার জন্য আগেভাগে নিñিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি অতিরিক্ত ওয়াকিটকির ব্যবস্থাও করা হয়।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় স্বল্প পরিসরে অনুষ্ঠান করেছে। নিউইয়র্কে দ্য সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কÑকিউনি এবং স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কÑসুনির বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের উদ্যোগে গ্র্যাজুয়েশন সিরিমনি অনুষ্ঠিত হয়। চলতি মাস ও আগামী মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানের সময়সূচি ঠিক করা হয়েছে।
এদিকে আগামী জুন মাসের শেষ সপ্তাহে বিভিন্ন হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত হবে হাইস্কুল গ্র্যাজুয়েশন। ইতিমধ্যে অনেক স্টুডেন্ট তাদের পছন্দের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিয়েছেন। তবে এবার ফাইন্যান্সিয়াল এইড প্যাকেজ দেরিতে দেওয়ায় এখনো অনেকেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি যে শেষ পর্যন্ত তিনি কোন কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন। ফাফসার আবেদনে পরিবর্তন আসায় আবেদন-প্রক্রিয়ায় দেরি হওয়ার কারণে এখনো প্যাকেজ পায়নি। এই প্যাকেজ আগামী মাসে দেওয়া শুরু হবে। ইতিমধ্যে অনেক স্টুডেন্টের ফাফসার আবেদন-প্রক্রিয়া শেষ করে কলেজের কাছে তথ্য পাঠানো হয়েছে।