দেশের জনপ্রিয় অনলাইন পাঠদান প্রতিষ্ঠান টেন মিনিট স্কুল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সচল থাকবে তাদের ওয়েবসাইট ও ইউটিউবে আগের সব পাঠদানের ভিডিওগুলো।
শুক্রবার (২ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সেখানে বলা হয়, টেন মিনিট স্কুলের সব লাইভ ক্লাস, রিভিশন ক্লাস এবং ইংলিশ সেন্টারের অফলাইন ক্লাস শনিবার (৩ আগস্ট) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি স্টার্টআপ বাংলাদেশের ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ হারিয়েছেন টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আয়মান সাদিক। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে একাধিক স্ট্যাটাস দেন আয়মান সাদিক। সেসময় তিনি লিখেন, ‘কোটা সংস্কার চাই। মেধা হোক সবচেয়ে বড় কোটা’।
তাছাড়া সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, কোটা আন্দোলন ২০১৮ সালে শুরু হয়েছিল। তখনও আমি প্রোপারলি (পুরোপুরি) সেই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছিলাম। মেধা হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কোটা, এটাতে কোনো ডাউট (সন্দেহ) থাকা উচিত না।
আয়মানের এমন বক্তব্যের পরদিন অর্থাৎ, ১৬ জুলাই অনলাইনভিত্তিক জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব বাতিল ঘোষণা করে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট দিয়ে তথ্যের সত্যতাও নিশ্চিত করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
জানা যায়, ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করা টেন মিনিট স্কুলে বর্তমানে ৬ষ্ঠ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনলাইন ব্যাচে লাইভ ক্লাস ও পরীক্ষার মাধ্যমে বোর্ড সিলেবাসভিত্তিক পড়াশোনা ও পরীক্ষা প্রস্তুতির নিয়মিত সহায়তা করছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী ও চাকরির প্রত্যাশীদেরও প্রস্তুতিতে সাহায্য করছে টেন মিনিট স্কুল।
এ অ্যাপে বাংলাদেশের বোর্ড সিলেবাসের ওপর ৩৫ হাজারেরও বেশি রেকর্ডেড ভিডিও লেকচার আছে। এর পাশাপাশি ৮২ হাজারেরও বেশি কুইজ আছে। এছাড়া মডেল টেস্ট, ই-বুক, ও লেকচার শিটের মতো শিক্ষামূলক রিসোর্স টেন মিনিট স্কুল নিয়মিত শিক্ষার্থীদের দিয়ে থাকে। শিক্ষামূলক অ্যাপটি ব্যবহার করছে ৬৭ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। এছাড়া টেন মিনিট স্কুলের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন কনটেন্ট থেকে প্রতি মাসে এক কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী অনলাইনে পড়াশোনা করছে।