আজ মধ্যরাত ১২টা থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল হতে বাংলাদেশের সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।
আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আজ সোমবার রাতে এক বার্তায় এ কথা জানিয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরসহ রাজধানীর ১৩টি থানা ও দেশের দুটি কারাগারে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দিনভর এসব হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব ঘটনায় কতজন হতাহত হয়েছে, সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পুলিশ সদর দপ্তরের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আন্দোলনকারীরা পুলিশ সদর দপ্তরের প্রধান ফটক ভেঙে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। পুলিশ সদর দপ্তরের অনেক কর্মকর্তা এ সময় কার্যালয়ে আটকা পড়েন। পরে অবস্থার উন্নতি হলে তারা পূর্বদিকের দেয়াল টপকে নগর ভবনের ভেতরে চলে যান। পরে সেখান থেকে বের হয়ে যে যার গন্তব্যে চলে যান।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, রাতে রাজধানীর মিরপুর ও মোহাম্মদপুর থানায় আগুন দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। পল্লবী থানায় হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া পাল্টা–ধাওয়া চলছে। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ভাটারা থানা ভবনে আগুন দেওয়া হয়েছে। হামলা হয়েছে বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী, ওয়ারি ও রূপনগর থানায় হামলার খবর পাওয়া গেছে।
কারাগারে হামলা
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে হামলা চালায়। হামলাকারীরা জেলে গেট ও ভেতরের তালা ভেঙ্গে অধিকাংশ আসামি ও কয়েদি বের করে নিয়ে যায়। পাশাপাশি জিনিসপত্র লুটপাট করে। তবে কতজন আসামি ও কয়েদি বের করে নিয়ে গেছে তা জানা যায়নি।
বিকেলে শেরপুর জেলা কারাগারে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে। এ সময় কারাগারে থাকা সব বন্দী পালিয়ে গেছেন। কারাগারে থাকা অস্ত্র ও মূল্যবান সামগ্রী লুটপাট করা হয়।