প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষায় সংস্কার, গুণগত পরিবর্তন ও মানোন্নয়নে ৯ সদস্যের একটি পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদকে প্রধান করে এ কমিটি করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞ ও প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে সই করেছেন উপসচিব মরিয়ম বেগম।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়ন, প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত উন্নয়ন এবং শিখন-শেখানো কার্যক্রমের উৎকর্ষ সাধনের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞ এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে একটি কনসালটেশন (পরামর্শক) কমিটি গঠন করা হলো।
সংস্কার কমিটির সদস্যরা যারা
প্রাথমিক শিক্ষা সংস্কারের গঠিত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রাখা হয়েছে বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদকে। সদস্যসচিব হিসেবে রয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (বিদ্যালয়) মো. আসাদুজ্জামান।
দেশের সব ‘উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি’ বাতিলের নির্দেশ
সদস্য হিসেবে রয়েছেন- প্রাক্তন সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামান, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলোজির রেজিস্ট্রার ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর প্রাক্তন মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. রফিকুজ্জামান, প্রাক্তন অতিরিক্ত সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রাক্তন যুগ্ম-প্রোগ্রাম পরিচালক (পিইডিপি-২) চৌধুরী মুফাদ আহমেদ।
গণসাহায্য সংস্থার পরিচালক (শিক্ষা) বেগম সামসি হাসান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক শিক্ষা উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ইরাম মারিয়াম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব মোরশেদ এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের শিবরাম আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নূরুল আলম।
যেসব কাজ করবে এ কমিটি
কমিটির কার্যপরিধি সম্পর্কে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষায় বিদ্যমান শিখন-শেখানো কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম, গবেষণা এবং সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা কাঠামো পর্যালোচনা, প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়পূর্বক প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনা কাঠামোর সময়ভিত্তিক প্রয়োজনীয় সংস্কারের চাহিদা নিরূপণ, প্রাথমিক শিক্ষায় শিখন-শেখানো কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম, গবেষণা এবং ব্যবস্থাপনা কাঠামোর টেকসই মানোন্নয়ন ও উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়ন।
এছাড়া উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষায় বিদ্যমান কার্যক্রম ও ব্যবস্থাপনা কাঠামো পর্যালোচনা এবং উৎকর্ষ সাধনের নিমিত্ত সুপারিশ প্রণয়ন; কমিটি কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে মতামত ও পরামর্শ গ্রহণের প্রয়োজনে কোনো বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ বা প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী/শিক্ষক/সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সভায় আমন্ত্রণ জানাতে পারবে, ঢাকায় বা ঢাকার বাইরে কর্মশালা আয়োজন করতে পারবে এবং প্রয়োজনে প্রাথমিক শিক্ষা ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট যে কোনো প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে পারবে।
এদিকে, প্রজ্ঞাপন জারির তিনমাসের মধ্যে কমিটি কার্যক্রম সম্পন্ন করবে এবং বাস্তবসম্মত সুপারিশসহ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করবে। কোনো কর্মশালা/সেমিনার/সভা আয়োজন করা বা কোনো প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের প্রয়োজন হলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কমিটিকে প্রয়োজনীয় লজিস্টিক ও সাচিবিক সহায়তা দেবে।