বৈধপথে আসছে তিন বছরে বিভিন্ন দেশ থেকে ধারাবাহিক প্রায় ৫ লাখ কর্মী নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি।
২০২২ সাল থেকে চালু হওয়া ডিক্রি ‘ডেক্রেতো ফুল্লির’ নিয়ম পরিবর্তন না হলে এবছরও তালিকায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশিদের।
স্থানীয় সময় সোমবার মন্ত্রীপরিষদের এক আলোচনা সভায় এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সরকার। তবে এবিষয়ে পূর্ণাঙ্গ বিবরণ পেতে অপেক্ষা করতে হবে গেজেট প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত।
ইতালির বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়ে বলা হয়, মন্ত্রীসভার আলোচনা অনুযায়ী, ২০২৩ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ লাখ কর্মী বৈধভাবে ইতালিতে প্রবেশের সুযোগ পায়। তবে আসছে তিন বছরে অর্থাৎ ২০২৬ থেকে ২০২৮ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ কর্মী পর্যায়ক্রমে বৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ পাবে।
এতে শুধু ২০২৬ সালে দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ পাবে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৫০ জন, ২০২৭ সালে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৫০ জন এবং শেষ বছর অর্থাৎ ২০২৮ সালে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫০ জন কর্মী বৈধভাবে প্রবেশের সুযোগ পাবে।
এরমধ্যে প্রতিবছর সিজনাল বা অস্থায়ীভাবে ৮৮ হাজার থেকে ৯০ হাজার শ্রমিক প্রবেশ করতে পারবে। তবে এই ক্যাটাগরির ভিসাধারীদের নির্দিষ্ট সময় পর নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে বলে জানায় প্রশাসন।
এছাড়া প্রতিবছর নন-সিজনাল বা স্থায়ীভাবে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবে ৭৬ হাজার ৮৫০ জন শ্রমিক। আর গৃহকর্মী বা বয়স্কদের দেখাশোনা করার জন্য প্রতিবছর স্থায়ীভাবে প্রবেশ করতে পারবে ১৩ হাজার ৬০০ থেকে ১৪ হাজার ২০০ জন।
এ বিষয়ে রোমের অভিবাসন বিশেষজ্ঞ প্রবাসী বাংলাদেশি মোকতার হোসেন ভূইয়া বলেন, “এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থাকবে কিনা সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে এবছর সরকার অনেক যাচাই-বাছাই করে কর্মীদের প্রবেশের সুযোগ দেবে।”
আরেক প্রবাসী বাংলাদেশি এম কে রহমান লিটন বলেন, “আসার আগে প্রত্যেক কর্মীকে সঠিক প্রশিক্ষণ নিয়ে ইতালিতে আসা উচিত। এতে দেশটিতে আসার পর কাজের জন্য আর চিন্তা করা লাগে না।”
তবে নানা ‘অনিয়ম আর ভিসা জটিলতার’ কারণে ঢাকার ইতালি দূতাবাসে জটলা লেগে আছে, আটকে আছে প্রায় ৬০ হাজার কর্মীভিসার আবেদন। এতে দফায় দফায় দূতাবাসের সামনে এসব ভিসা প্রত্যাশীরা মানববন্ধন করলেও জটিলতা কাটেনি।
এ বিষয়ে ইতালি দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসসান্দ্রো ‘জাল নথি ব্যবহার’ করে বারবার আবেদন করাকে দায়ী করে আসছেন।