বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ও পাকিস্তান থেকে আসা নির্যাতিত সংখ্যালঘু অভিবাসীদের জন্য নতুন নিয়ম কার্যকর করেছে ভারত সরকার।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানায়, সোমবার থেকে কার্যকর হওয়া ভারতের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স অ্যাক্ট-২০২৫ এর আওতায় এসব অভিবাসীর কারও যদি বৈধ পাসপোর্ট বা ভ্রমণ নথি না থাকে, অথবা থাকলেও যদি মেয়াদ শেষ হয়ে যায়, তাহলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত কোনো ব্যক্তি—হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টান- যারা ধর্মীয় নিপীড়ন বা নিপীড়নের আশঙ্কায় ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪-এর আগে প্রবেশ করেছেন, তারা বৈধ ভ্রমণ নথি ছাড়াই ভারতে থাকতে পারবেন। বৈধ পাসপোর্ট বা নথি নিয়ে যারা এসেছিলেন কিন্তু যার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তারাও এ নিয়মের বাইরে থাকবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে যে, এই আইনের অধীনে অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেও আইন প্রয়োগের ক্ষমতা রয়েছে।
নতুন নিয়মের ফলে দীর্ঘদিন ধরে আইনি অনিশ্চয়তায় থাকা বহু সংখ্যালঘু অভিবাসী স্বস্তি পেয়েছেন।
এর আগে, নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন বা সিএএ অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে আসা সংখ্যালঘুরা যারা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর বা তার আগে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তারা ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য হয়েছিলেন।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বিদেশি যদি বৈধ পাসপোর্ট বা ভিসা ছাড়া অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করে, তবে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে।
তবে যারা ভিসার মেয়াদের বেশি সময় ধরে ভারতেই থাকেন, তাদের জন্য গ্রেডেড জরিমানা ব্যবস্থা থাকবে। উদাহরণস্বরূপ, তিব্বতি ও মঙ্গোলিয়ার বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের যোগ্য অভিবাসীদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। সাধারণ ক্ষেত্রে, যদি কেউ ভিসার মেয়াদ অনুযায়ী ৩০ দিন পর্যন্ত থাকে, তবে ১০,০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। আর ৩১-৯০ দিনের বেশি সময় থাকলে জরিমানা হবে ২০,০০০ টাকা।