সংগীত দুনিয়ার সবচেয়ে বড় আয়োজন, সম্মাননা গ্র্যামি। দীর্ঘ ৬৫ বছর ধরে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে আমেরিকান রেকর্ডিং অ্যাকাডেমি। ৫ ফেব্রুয়ারি (বাংলাদেশ সময় ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের ক্রিপ্টো ডটকম এরেনায় বসেছিলো গ্র্যামির জমকালো পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান।
চোখ ধাঁধানো সেই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের দুই তরুণ শিল্পী। তারা হলেন প্রীতম হাসান ও জেফার। কাছ থেকে দেখেছেন বিশ্ব সংগীতের মহাতারকাদের, উপভোগ করেছেন অবিস্মরণীয় একটি সন্ধ্যা।
প্রীতম জানান, ছোটবেলা থেকেই মুগ্ধতা নিয়ে গ্র্যামির আয়োজন দেখতেন টিভিতে, ইউটিউবে। আর মনে মনে স্বপ্ন বুনতেন, একদিন তিনিও যাবেন সেখানে। সেই স্বপ্নটাই এবার পূরণ হয়ে গেলো। তাই উচ্ছ্বাসের প্লাবন এই তরুণ তুর্কির মনে।
সেই উছ্বাস প্রকাশ করলেন এভাবে, ‘কখনও কল্পনা করিনি গ্র্যামি নিজ চোখে দেখবো। নকশিকাঁথা টক্সেডো পরে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড জেফারের সঙ্গে আয়োজনটি দেখলাম। হ্যারি স্টাইলস, বিয়ন্সে, টেইলর সুইফট, কেন্ড্রিক লামার, ম্যাডোনা, দ্য রক, অ্যাডেল, তারা সবাই আমাদের থেকে মাত্র ৩০০ মিটার দূরে ছিলেন!’
এ বছর গ্র্যামিতে মনোনয়ন পেয়েছিলো ‘বার্কলে ইন্ডিয়ান অ্যাসেম্বল’। সংগীত সংস্থাটির ‘শুরুয়াত’ নামের একটি অ্যালবাম মনোনয়ন পায়। সেখানে ‘জাগো পিয়া’ শিরোনামের একটি গান গেয়েছেন বাংলাদেশের নাশিদ কামাল ও আরমীন মুসা। তারা সম্পর্কে মা-মেয়ে। তাদের সুবাদেই প্রথম কোনও বাংলাদেশি গ্র্যামির মনোনয়নের অংশীদার হয়েছে।
সে বিষয়টি নিয়েও প্রীতম নিজের অভিমত ব্যক্ত করলেন, ‘আরমীন মুসা মনোনয়ন পেয়েছিলো, যদিও সে জিতে পারেনি; তবে আমি খুব খুশি যে আমাদের মধ্যে একজন মনোনয়নের তালিকায় প্রবেশ করতে পেরেছে। আশা করি একদিন আমাদের বাংলাদেশি কোনও শিল্পীও গ্র্যামির রেড কার্পেটে হাঁটবে।’
প্রীতম ও জেফার দুজনের পোস্ট সূত্রে আঁচ করা গেলো, তাদেরকে গ্র্যামির আসরে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করেছে কাইনেটিক মিউজিক।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালে বাংলাদেশি শিল্পী হিসেবে গ্র্যামির সম্মানজনক আসরে অংশ নিয়েছিলেন তাহসান খান ও হাবিব ওয়াহিদ।