গতানুগতিক কাজে একেবারেই অনিহা মাসুমা রহমান নাবিলার। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই খুব বেছে বেছে কাজ করেছেন এই উপস্থাপক, মডেল ও অভিনেত্রী।
তাই ক্যারিয়ারে কাজের সংখ্যাও খুব কম। নাবিলা মনে করেন, নারী কেন্দ্রীক কাজ আরও বাড়ানো উচিৎ।
মাঝে মাতৃত্বকালীন বিরতিতে ছিলেন নাবিলা। বিরতি কাটিয়ে আবারও কাজে ফিরছেন তিনি। শনিবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় একটি অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন এই তারকা। সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নারীকেন্দ্রিক কাজের বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
নাবিলার ভাষ্য, আমাদের এখানে পুরুষকেন্দ্রিক কাজ বেশি হয়। নারীকেন্দ্রিক কাজ কম হয়, একেবারে যে হয় না এমনও নয়। নারীকেন্দ্রিক ‘লেডিজ অ্যান্ড জেন্টলমেন’, ‘গুটি’ আমরা দেখেছি। কিন্তু এই সংখ্যা আরও বাড়ানো উচিৎ।
নাবিলার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ছিল ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্র। অমিতাভ রেজা পরিচালিত এ সিনেমায় চঞ্চল চৌধুরীর বিপরীতে অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হন নাবিলা।
‘আয়নাবাজি’র পর আর বড় পর্দায় দেখা মেলেনি তাকে। তাহলে কী ভালো গল্পের চলচ্চিত্র না পাওয়ায় সিনেমায় কাজ করেননি নাবিলা? এমন প্রশ্নে নাবিলার উত্তর- ভালো গল্পের কাজ আমার কাছে এসেছে। কিন্তু ওই সময়ে আমি অন্তঃসত্ত্বা ছিলাম, সে কারণে কাজটি অন্যজনের কাছে চলে যায়। হয়তো সেই পরিস্থিতিতে না থাকলে আরও সিনেমায় আমাকে দেখা যেত। আর যে কাজগুলো আমি মানা করে দিয়েছি সেসব কাজ নিয়ে আমার কোনও আফসোস হয়নি।
সামনে কোন কী ধরণের চরিত্রে কাজ করতে চান? এমন প্রশ্নে নাবিলা বলেন, গল্প বা চরিত্রের এমন ক্ষেত্রে এমন কোনও চয়েজ নাই। যেই গল্প বা চরিত্র শুনে মনে হবে আমার কাজটি করা উচিৎ সেই কাজটিই করব।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে টেলিভিশনে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা শুরু করেন নাবিলা। এরপর বহু নাটক ও বিজ্ঞাপন করে আলোচিত তিনি। ২০১৮ সালে জোবাইদুল হক রিম নামে এক ব্যাংকারকে বিয়ে করেন নাবিলা। তাদের সংসার আলো করে রেখেছে এক কন্যাসন্তান।