স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয় চলতি বছর ২৫ জুন। উদ্বোধনের কিছুদিন আগে ঘোষণা দেওয়া হয় সেতুটি নিয়ে সিনেমা নির্মাণের। বড়ুয়া মনোজিত ধীমন প্রযোজিত ও আলী আজাদ পরিচালিত সিনেমার নামও রাখা হয় ‘পদ্মা সেতু’। শুটিং শেষে দীর্ঘদিন যাবৎ এটি আটকে আছে সেন্সর বোর্ডের টেবিলে। এ কারণে সিনেমার মুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এর প্রযোজক।
গেল রোববার প্রধানমন্ত্রীর বরাবর লিখিত আবেদনে এই হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়। সেখানে লেখা হয়, বাংলার মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু নিয়ে নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা সিনেমা ‘পদ্মা সেতু’র প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের অনুমতির জন্য গত মাসের ৬ তারিখ বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয়। আর সেন্সর বোর্ডের সদস্যগণ ২১ তারিখ সিনেমাটি পরীক্ষা করেন।
আবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা এটির সেন্সর সনদ প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প কর্তৃপক্ষের মতামত নেওয়ার পক্ষে মত দেন। তাদের কথার পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের প্রজেকশন হলে চলতি মাসের ৭ তারিখ পদ্মা সেতু সিনেমাটি প্রদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
সেন্সর বোর্ড সূত্রে জানা যায়, পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প কর্তৃপক্ষের মনোনীত প্রতিনিধি পদ্মা সেতু সিনেমাটি দেখেছেন। কিন্তু অফিসিয়ালি এখনো কোনো মতামত না আসায় এটি সেন্সরে আটকে আছে। আর পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ থেকেও কোন মতামত আসেনি। তাই এটি আটকে আছে সেন্সরে।
এদিকে, নির্মাণের পাশাপাশি এর কাহিনি, সংলাপ, চিত্রনাট্যের কাজ করেছেন আলী আজাদ। সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- সাঞ্জু জন, অলিভিয়া মাইশা, রায়হান মুজিব, হিমেল রাজ, খুকু, আনোয়ার সিরাজী, শান্তা পাল প্রমূখ।
এর শুটিং হয়েছে পদ্মা সেতু এলাকার মধ্যেই। জাফর ইকবাল সিদ্দিকী (এন,ডি,সি) নিবেদিত ‘পদ্মা সেতু’র প্রযোজনায় আছে প্রতিষ্ঠান বাংলা টকিজ।