টাকা দিয়ে সুখ কেনা যায় না এটা আমার বড় হতাশা : লুসি বিউমন্ট

বিনোদন ডেস্ক
  ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪২

একেকজন মানুষের জীবনবোধ একেক রকম। জনপ্রিয় কমেডিয়ান লুসি বিউমন্ট পর্দায় সবাইকে হাসান। এই হাস্যোজ্জ্বল মানুষটির কাছে জীবন অর্থ ভিন্নরকম। ব্রিটিশ কমেডিয়ান লুসি বিউমন্ট কর্নওয়ালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। এই কমিডিয়ানের ঝুড়িতে আছে একাধিক পুরস্কার। তিনি কেবল কমেডিয়ান নয় কয়েকটি জনপ্রিয় সিটকম সিরিজেও লেখকও। তিনি তার সর্বশেষ স্ট্যান্ডআপ শো, লুসি বিউমন্ট লাইভ নিয়ে যুক্তরাজ্যে সফর করছেন। তার একটি সন্তান রয়েছে। এক কথায় বলা যায় জীবন তাকে অনেক কিছু দিয়েছে। কিন্তু তার পরেও লুসি নিজেকে সহজে সুখী বলতে পারেন না। দ্য গার্ডিয়ানের এক সাক্ষাৎকারে সে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে। যা আপনাকে জীবন নিয়ে ভাবাবে।
আপনি কখন সবচেয়ে সুখী ছিলেন?
আমার মনে আছে শীতকালে আমার আন্টি পলিনের বাড়িতে গিয়েছিলাম যখন আমার বয়স আট বা নয়। তিনি আমাকে রোস্ট বিফ স্যান্ডউইচ বানিয়ে দিয়েছিলেন। খাবারটা খেয়েই আমি ফায়ার হাউজের পাশে ঘুমিয়ে গেলাম। একদম বলা যায় একটা বিড়ালের মতো। খাওয়া আর ঘুম, আমি সেই সময় সবচেয়ে সুখী ছিলাম।
কখন আপনার সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়?
অনেক সময় এমন হয় যে আমি ভাবি আমি ভুল করছি, কিন্তু সত্যি বলতে তখন আমি সঠিক পথেই থাকি। অন্যদের তখন আমি বুঝাতে পারি না যে আমি ঠিক পথেই আছি। আর ঠিক থেকেই নিজের ভুল খুঁজে বের করা খুবই বেদনাদায়ক।
তিনটি শব্দে নিজেকে বর্ণনা করুন।
সুন্দর কিন্তু অকেজো।
আপনাকে সবচেয়ে বেশি হতাশ করে কোন বিষয়?
টাকা থাকলেও জীবনে সুখ কেনা যায় না। এই বিষয়টা আমাকে খুবই কষ্ট দেয়। এটাই আমাকে হতাশ করে।
আপনার চেহারা সম্পর্কে আপনি সবচেয়ে অপছন্দ কী?
আমার বুড়ো আঙুল এবং আমার পরের পায়ের আঙুলের মধ্যে একটি বিশাল ব্যবধান আছে। আমার এটা একেবারেই ভালো লাগে না। আমার প্রায়ই মনে হয় এখানে আরও একটা পায়ের আঙুল আছে।
কারোর কাছ থেকে শোনা সবচেয়ে খারাপ কথা…
রাস্তায় কিছু লোক আমাকে একবার থামিয়ে বলেছিল, আমি যদি আর কয়েক ইঞ্চি লম্বা হতাম তাহলে সেটা খুবই বিপজ্জনক হতো। আমি জানি না তারা কী বুঝাতে চেয়েছিল।
আপনি কাকে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করেন?
আমি ফ্যাসিস্ট এবং খুনিদের পছন্দ করি না।
আপনার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খারাপ কাজ কোনটা ছিল?
যখন আমার ২০ বছর বয়স, তখন একটা কাগজের কারখানায় কাজ করতাম। আমাকে প্রতি শনিবার ভোর পাঁচটায় সেখানে যেতে হতো। তাই আগের দিন রাতে অনেক কাজ করে মাত্র এক ঘণ্টা ঘুমিয়ে তারপর কারখানায় যেতাম। চার পাশে অগণিত কাগজের মাজে আমাকে থাকতে হতো। অনেক সময় মনে হতো একসঙ্গে অনেক লোকের কথা আমি শুনছি। এটা আমাকে পাগল করে দিচ্ছিলো।