পাহাড়ে কাটেনি উৎসবের আমেজ

ফাতেমা জান্নাত মুমু
  ০২ আগস্ট ২০২২, ২১:২২

এখনো পর্যটকদের ভিড় রাঙামাটি পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। প্রায় প্রতিদিন আসছে হাজার হাজার পর্যটক। প্রকৃতির টানে দূর-দুরান্ত থেকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পদচারণে মুখর রাঙামাটি। তাদের হৈ হৈ আনন্দ-উল্লাসে পাহাড়ে এখন উৎসবের আমেজ বইছে। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ হাজার পর্যটকের ভিড় থাকে রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ঝুলন্ত সেতু ও পলওয়েল পার্কে। এতে যেমন পর্যটন খাতে রাজস্ব আয় বাড়ছে, তেমনি সচল হয়েছে পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত বিভিন্ন ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো।
পর্যটন কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, সপ্তাহের প্রথম দিন অর্থাৎ রবিবারও ছিল রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুতে স্থানীয়সহ আশপাশের জেলার পর্যটকদের আনাগোনা। হোটেল তো বুকিং আছেই। ঝুলন্ত সেতুর কাউন্টারেও ছিল উপচেপড়া ভিড়।
রাঙামাটি বেড়াতে আসা পর্যটক মো. তাহামিদ আহসান জানান, প্রচণ্ড গরমের পর এক পশলা বৃষ্টির যে শান্তির পরশ, তা পাওয়া যায় শুধু পাহাড়ে। বৃষ্টি শেষ হলে দেখা যায় পাহাড়ের কত রূপ! সবুজ পাহাড়ের বুক চিরে ভেসে বেড়ানো মেঘবালিকার দল দেখে সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। তাই তো প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে রাঙামাটি আসি।
অন্যদিকে কাপ্তাই হ্রদের আশপাশের ঝর্ণার কারণে ব্যস্ততা বেড়েছে বোর্ট মালিকদেরও। এসব পর্যটকরা যাতে নিরাপদে কাপ্তাই হ্রদ ভ্রমণ করতে পারে তার জন্য পর্যটন কমপ্লেক্সের ঝুলন্ত সেতুর ঘাটে রাখা আছে সারি সারি ট্যুরিস্ট বোর্ট। ট্যুরিস্ট বোর্ট মালিক সমিতির ম্যানেজার মো. রমজান আলী বলেন, ‘আমাদের ১০০টি ট্যুরিস্ট বোর্ট আছে। প্রতিটি বোর্ট প্যাকেজ আকারে ছাড়া হয়। ৩ থেকে ৪টা পর্যঠন স্পট ঘুরাবে পর্যটকদের। তার বিনিময়ে দিতে হবে ১২ থেকে ১৫ টাকা। তাছাড়া পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য বোর্টে রাখা আছে লাইফ জ্যাকেট।’
অন্যদিকে গেলো দু’বছর করোনার প্রভাব কাটিয়ে রাঙামাটি পর্যটন ব্যবসা আবারও চাঙা হয়ে উঠেছে বলে জানালেন পর্যটন ম্যানেজার সৃজন বিকাশ বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘পর্যটক আসছে। তাই রাজস্ব খাতে আয়ও বেড়েছে। সচল হয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো।’