দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৩৮৯ জন। যা একদিনে এ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ৫ নভেম্বর ১৩৭০ জন আক্রান্ত হয়েছিল।এতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৯ হাজার ৯৮৪ জনে।
আর গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১৫ জনে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া আটজনের মধ্যে সাতজনই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা। বাকি একজন চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দা।
আর আক্রান্তদের মধ্যে ২০৯ জন ঢাকা উত্তর সিটির ও ১৪৬ জন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ৪১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৭২ জন, বরিশাল বিভাগে ১২৩ জন, খুলনা বিভাগে ১৫৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৯৬ জন, রংপুর বিভাগে ১৯ জন এবং সিলেট বিভাগে ৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের এক জানুয়ারি থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। যাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ১০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৯০ শতাংশ নারী। এছাড়া এখন পর্যন্ত মৃত ৪১৫ জনের মধ্যে ৫০ দশমিক ১০ শতাংশ নারী এবং ৪৯ দশমিক ৯০ শতাংশ পুরুষ।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান