ড্রিমার্স কনসালটেশনের ২০০তম মেডিকেল ক্যাম্প উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম
আগামী সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন ক্যাবিনেটে (উপদেষ্টা পরিষদে) পাঠাতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের কাজ ২০১৪ সালে শুরু হলেও এখনো শেষ হয়নি। আমি এই পদে আসার পর আমাকে সময় দেওয়া হলো মাত্র ৮ দিন। আমি বললাম আমি এটা জানি না, আমাকে আগে জানতে হবে, তারপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে এটি ক্যাবিনেটে পাঠাতে পারবো।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে ড্রিমার্স কনসালটেশন অ্যান্ড রিসার্চ আয়োজিত ২০০তম মেডিকেল ক্যাম্প উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আহতদের চিকিৎসা সহজ করতে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। দেশের ডাক্তারদের পাশাপাশি আমরা ফ্রান্স, চীন থেকে ডাক্তার এনেছি। নেপাল থেকে চক্ষু চিকিৎসকরা এসেছেন। তারা বলেছেন আমাদের এখানে ডাক্তাররা যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন সেটা যথাযথ হয়েছে। কিছু রোগীর ব্যাপারে তারা বলেছেন দেশে গিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে মতামত জানাবেন।
তিনি বলেন, আন্দোলনে যারা পা হারিয়েছেন তাদের চিকিৎসার ব্যাপারে যুক্তরাজ্য, চীন ও ফ্রান্সের ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এমন একজনকে আমরা ব্যাংককে পাঠিয়েছি, যার চিকিৎসা ব্যয় প্রায় ২ কোটি টাকা। সিএমএইচে চিকিৎসাধীন আছেন আহত একজন। তার চিকিৎসার ব্যাপারে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। খোকন নামের একজন বার্ন ইউনিটে আছেন, যারা মুখে গুলি লাগায় মুখে গুরুতর জখম হয়েছে। তার চিকিৎসার ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ায় যোগাযোগ করা হচ্ছে। এমন অনেককে আমরা বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথা বলে বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করছি। এছাড়া ইউনিসেফ, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারাও আমাদের সহযোগিতা করবে।
নুরজাহান বেগম আরও বলেন, বাংলাদেশে অনেক জায়গায় অনেক ভালো ভালো ডাক্তার আছেন। আমরা যদি সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসি তাহলে স্বাস্থ্য খাতে আরও উন্নতি করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মামুন আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, আব্দুল কাদের, মাহিন সরকার প্রমুখ।