সারাক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন। কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা, শপিং করে বিল মেটানো থেকে শুরু করে বাস-ট্রেনের টিকিট কাটা, সিনেমা দেখা সবই সম্ভব এক স্মার্টফোনে। তাই তো বলা যায়, সঙ্গে স্মার্টফোন থাকলে আর কিছুই লাগে না।
দিনের বেশিরভাগ সময় কাটছে স্মার্টফোন নিয়ে। স্মার্টফোন যে কোনো সময় হ্যাক হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্নভাবে হ্যাকাররা ফাঁদ পেতে রাখে। অ্যাপ যতই আন-ইনস্টল করুন বা ফোন রিস্টার্ট দিন না কেন, তাতে হ্যাক হওয়া থেকে মুক্ত হওয়া যায় না। তবে আপনার ফোন হ্যাকারের নিয়ন্ত্রণে আছে কি না তা কিন্তু বুঝতে পারবেন একটু সচেতন হলেই।
আসুন জেনে নেওয়া যাক কী কী বিষয়ে নজর দিলেই ব্যাপারটি আপনি বুঝতে পারবেন-
>> ফোন চার্জ দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই চার্জ তলানিতে এসে ঠেকেছে। ফোন হ্যাক করলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে ফোন খারাপ হলেই যে এমন হতে পারে। এর কারণ এমন কোনো অ্যাপ্লিকেশন চলছে, তার জন্যই এই সমস্যা। আর এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমেই হয়তো কোনো হ্যাকর হানা দিয়েছে আপনার ফোনে।
>> অনেক ক্ষণ ধরে ফোনে কথা বললে মুঠোফোন গরম হয়ে যাওয়া খুবই সাধারণ বিষয়। কিন্তু যদি দেখা যায় ফোন নিয়ে বিন্দুমাত্রও ঘাঁটাঘাঁটি করলেন না অথচ ফোন খুব গরম হয়ে গেল! এরকম যদি হয় তা হলেও কিন্তু সাবধান হয়ে যাওয়াই ভালো।
>> ফোনে দেখবেন মাঝে-মধ্যেই মেসেজ বা পপ আপ আসতে থাকে। তা হলে আগে থেকেই সাবধান হয়ে যান। যদি দেখেন বিভিন্ন রকম অযাচিত ও অশ্লীল নোটিফিকেশন ফোনে আসতে শুরু করে দিয়েছে, তা হলেও সতর্ক হোন।
>> ফোন যদি হঠাৎ করে নিজে থেকেই রিস্টার্ড হতে শুরু করে দিয়েছে, বা নিজে থেকেই অ্যাপ ইনস্টলড হতে শুরু করে, তা হলে বুঝবেন লক্ষণ খুব একটা সুবিধার নয়৷
>> যদি হঠাৎ দেখেন ফোন হয়তো নিজে থেকই কোনো অ্যাপ ইনস্টলড হতে শুরু করে। তা হলে বুঝবেন সমস্যা আছে। এমনো হতে পারে ফোনে নিজে থেকেই কোনো নম্বর ডায়াল হয়ে যাচ্ছে বা কোনো অ্যাপ নিজে থেকেই খুলে যাচ্ছে। তেমন হলে বুঝতে হবে আপনার মুঠোফোনের নিয়ন্ত্রণ এরই মধ্যে হয়তো অন্য কারো হাতে চলে গেছে।
>> যদি দেখেন, আপনার ফোন থেকে আপনারই ঘনিষ্ঠদের ফোনে কল ও মেসেজ চলে যাচ্ছে। বা নিজে থেকেই পোস্ট হয়ে যাচ্ছে, তখনই সাবধান হোন।
>> যদি ফোনের গ্যালারিতে অচেনা কারো ছবি রয়েছে অথবা সন্দেহজনক ছবি আপনার ফোনে আচমকাই চলে আসছে। আপনার ফোনের ক্যামেরার ফ্ল্যাশও যদি আপনি হাত না লাগাতেই অন হয়ে যায়, তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে ফোনটি হয়তো কারো নিয়ন্ত্রণে আছে।
হ্যাকিং থেকে বাঁচতে
অবশ্যই সবসময় সফটওয়্যার আপডেট করে রাখুন৷ ফোনে চেষ্টা করবেন ভালো কোম্পানির অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করে রাখতে। অজানা কোনো অ্যাপ ইনস্টল না করাই ভালো। ডাউনলোড করার আগে ভালো করে দেখে নিন অ্যাপটি কে বা কারা তৈরি করেছে? রিভিউও দেখে নিন। অ্যাপটি ইনস্টল করার সময় যদি কিউআর কোড স্ক্যান করতে বলে, তা হলে বুঝবেন সেটি ভুয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ই-মেইল বা মেসেজে কোনো লিঙ্ক এলে সেটি খুলবেন না। যদি কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়, তাহলে ভুলেও সেই ফাঁদে পা দেবেন না। এভাবেই ম্যালঅয়্যার ইনস্টল করিয়ে ফোন দখলে নেয় হ্যাকাররা। তাই সতর্ক থাকুন।