বাসযোগ্য নতুন গ্রহের সন্ধান পেল নাসা

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৩:০৮

আরেকটি চমকপ্রদ আবিষ্কার করেছে বহুল আলোচিত জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। এবার একটি বিশাল গ্রহের সন্ধান দিয়েছে এই টেলিস্কোপ যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে বলে ধারণা করছে একাধিক মহাকাশ সংস্থা।
এবিসি নিউজের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীর চেয়ে প্রায় ১০০ গুণ বড় টিডব্লিউএ সেভেনবি বা সিই অ্যান্টিলাই নামে নতুন এই গ্রহটি ৩৪ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করছে। এটি একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে যা সূর্যের মতোই।
নাসার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মহাকাশে স্থাপন করা সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব স্পেসের মাধ্যমে টিডব্লিউএ সেভেনবি গ্রহটি শনাক্ত করা হয়েছে।
প্রাথমিক বিশ্লেষণ শেষে নাসা জানিয়েছে, গ্রহটিতে প্রাণীদের বসবাস উপযোগী এমন ১২০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ঠাণ্ডা আবহাওয়া থাকতে পারে। সাধারণত প্রায় ৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট থেকে শুরু করে ২৫১ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত তাপমাত্রায় প্রাণের বৃদ্ধি এবং বংশবৃদ্ধি হতে পারে।
গ্রহটি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকরা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, প্রথমবারের মতো জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ সরাসরি এমন একটি ছবি ধারণ করেছে যা মহাকর্ষীয় লেন্সিংয়ের পরিবর্তে একটি গ্রহ আবিষ্কারে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করছে। যদি গ্রহটি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে যায়, তাহলে এটি হবে ওয়েবের প্রথম সরাসরি ছবি আবিষ্কার এবং এই কৌশল ব্যবহার করে দেখা সবচেয়ে উজ্জ্বল গ্রহ।
ফ্রান্সের অবজারভাটোয়ার ডি প্যারিস-পিএসএল এবং ইউনিভার্সিটি গ্রেনোবল আল্পসের সিএনআরএস গবেষক ডঃ অ্যান-মেরি ল্যাগ্রেঞ্জের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক দলটি ওয়েবের মিড-ইনফ্রারেড ইন্সট্রুমেন্ট ( এমআইআরআই ) এবং এর করোনাগ্রাফ ব্যবহার করে টিডব্লিউএ সেভেন এর আশেপাশের ধ্বংসাবশেষের ডিস্কে একটি অস্পষ্ট ইনফ্রারেড উৎস শনাক্ত করেছে।
নেচার জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র অনুসারে টিডব্লিউএ সেভেন এর চারপাশে থাকা ধ্বংসাবশেষের ডিস্কটি এখন পর্যন্ত জানা সবচেয়ে নতুন ধ্বংসাবশেষের ডিস্কগুলোর মধ্যে একটি।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি এবং বাল্টিমোরের স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউটের সহকারী গবেষণা সহযোগী,ম্যাথিল্ড ম্যালিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই আবিষ্কারটি গ্রহ ব্যবস্থা সম্পর্কে আমাদের গবেষণার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপুর্ণ পদক্ষেপ।
নাসার মতে, এই আবিষ্কারটি ওয়েব টেলিস্কোপের নিকটবর্তী নক্ষত্রগুলোর চারপাশে অজানা গ্রহগুলো আবিষ্কারের ক্ষমতাকে তুলে ধরেছে।