বছরের শেষে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম কমে ব্যারেলপ্রতি প্রায় ৫৫ ডলারে নেমে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটসের সহ-সভাপতি ডেভ আর্নসবার্গার। গতকাল সোমবার এশিয়া প্যাসিফিক পেট্রোলিয়াম কনফারেন্সে এক বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
ওপেক প্লাস অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে তেল উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তবে আগের মাসগুলোর তুলনায় ধীর গতিতে। বৈশ্বিক চাহিদা দুর্বল হওয়ার পূর্বাভাসেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সোমবার ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার্সের দাম ০.৫% বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬৫.৮৪ ডলারে পৌঁছেছিল।
এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটসের সহ-সভাপতি ডেভ আর্নসবার্গার বলেন, আমরা এখনো দামকে ব্যারেলপ্রতি ৫৫ ডলারের কাছাকাছি নামতে দেখছি, কারণ ওপেক বাজারে সরবরাহ বাড়িয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, যদি বিশাল উদ্বৃত্ত তৈরি হয়, রাশিয়ার তেল প্রবাহ অব্যাহত থাকে, মজুত তৈরি বন্ধ হয় এবং এর কিছু অংশ বাণিজ্যিক মজুদে যায়, তবে দামের পতন আরো তীব্র হতে পারে। তখন কন্ট্যাঙ্গো আরো বেড়ে যাবে।
কন্ট্যাঙ্গো এমন একটি পরিস্থিতি, যেখানে বর্তমান তেলের দাম ভবিষ্যতের তুলনায় কম থাকে, যা পর্যাপ্ত সরবরাহের ইঙ্গিত দেয়।
এদিকে গোল্ডম্যান স্যাকস ২০২৫ সালের জন্য ব্রেস্ট ও ডব্লিউটিআইয়ের (মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট) মূল্য পূর্বাভাস অপরিবর্তিত রেখেছে। ২০২৬ সালের জন্য গড় দাম যথাক্রমে ব্যারেলপ্রতি ৫৬ ও ৫২ ডলার হবে না বলে ধারণা করছে সংস্থাটি। খবর রয়টার্সের।
পেট্রোলিয়াম রফতানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেক ও রাশিয়াসহ অন্যান্য সহযোগী দেশগুলোর সংগঠন ওপেক প্লাস। সংগঠনটি গত এপ্রিল থেকে দৈনিক প্রায় ২৫ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল উত্তোলন বাড়িয়েছে। এটি বৈশ্বিক চাহিদার ২ দশমিক ৪ শতাংশের সমান।
খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, উত্তোলন বাড়ানোর মাধ্যমে বাজারে অংশীদারত্ব বাড়ানো ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপের মুখে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর চেষ্টা চলছে। তবে এসব বৃদ্ধিও দামকে তেমন প্রভাবিত করতে পারেনি।