লন্ডনে লাখো মানুষের অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভ

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:০১

যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে অভিবাসনবিরোধী এক বিক্ষোভে প্রায় এক লাখ দশ হাজার মানুষ অংশ নেয়। ডানপন্থি নেতা টমি রবিনসনের ডাকে আয়োজিত এ সমাবেশে চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলোর উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়। অন্যদিকে, পাল্টা প্রতিবাদ হিসেবে রাস্তায় নেমে আসে অভিবাসীবান্ধব ও প্রগতিশীল সংগঠনগুলো। এছাড়াও বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় বর্ণবাদবিরোধী বৃহৎ এক র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লন্ডনে চরম ডানপন্থিদের এটিই সবচেয়ে বড় সমাবেশ।
শনিবার দুপুরে সেন্ট্রাল লন্ডনে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। ‘ইউনাইট দ্য কিংডম’ নামের এই মিছিলের আয়োজন করেন বিতর্কিত অভিবাসনবিরোধী কর্মী টমি রবিনসন। পুলিশি হিসাবে, এতে অংশ নিয়েছিলেন প্রায় এক লাখ দশ হাজার মানুষ।
অন্যদিকে, ‘স্ট্যান্ড আপ টু রেসিজম’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে কাছেই পাল্টা মিছিল করে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ। তাদের কণ্ঠে উচ্চারিত হয় ‘বর্ণবাদ নিপাত যাক, অভিবাসীদের মর্যাদা চাই’ এর মতো স্লোগান।
মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভকারীরা একাধিকবার ব্যারিকেড ভেঙে পাল্টা মিছিলের দিকে এগোতে চেষ্টা করে। এতে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা লাঞ্ছনার শিকার হন।
ওয়েস্টমিনস্টারের বিভিন্ন সড়কে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মিছিলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের পতাকা এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ টুপি দেখা যায়। আয়োজক টমি রবিনসন এটিকে ‘বাকস্বাধীনতার উৎসব’ বলে আখ্যায়িত করেন। এ সময় অনলাইনে বক্তব্য দেন মার্কিন ব্যবসায়ী ইলন মাস্কও।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, একদিকে যেমন চরম ডানপন্থিরা সংগঠিত হচ্ছে, অন্যদিকে অভিবাসীবান্ধব ও প্রগতিশীল শক্তিগুলোও একত্রিত হচ্ছে। কিছু কিছু এলাকায় অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট মিছিলও হয়েছে।

এদিকে, বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসেও বর্ণবাদবিরোধী এক প্রাণবন্ত র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। ডকল্যান্ডস এলাকায় শত শত মানুষ বর্ণবাদের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদ জানান। কমিউনিটি নেতারা বলেন, ব্রিটেনে বর্ণবাদের কোনো স্থান নেই এবং এর বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাদের দৃঢ় অঙ্গীকার, বর্ণবৈষম্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদ ও ঐক্য অবিচল থাকবে।