
হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা আইনে জিমি লাই দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোানল্ড ট্রাম্প তাকে মুক্তি দিতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংকে আহ্বান জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
ট্রাম্প জানান, চীনের প্রেসিডেন্টের কাছে লাইকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি ‘বিবেচনা করতে’ তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন। এই সপ্তাহের শুরুতে হংকংয়ের একটি আদালত লাইকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন,‘আমার খুব খারাপ লাগছে। আমি প্রেসিডেন্ট শির সঙ্গে কথা বলেছি এবং তার মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করতে বলেছি। তিনি একজন বয়স্ক মানুষ এবং তিনি ভালো নেই। তাই আমি সেই অনুরোধটি করেছি। এখন দেখা যাক কী হয়।’
যুক্তরাজ্য এই শাস্তির বিষয়টিতে নিন্দা জানিয়েছে। দেশটি দ্রুত ৭৮ বছর বয়সী জিমি লাইয়ের মুক্তি দাবি করছে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার রায়টিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিপীড়ন’ বলে অভিহিত করেছেন।
ব্রিটিশ নাগরিক জিমি লাই ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাগারে আছেন। আগামী বছরের শুরুতে তার সাজা ঘোষণার কথা রয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
সোমবার হংকংয়ের একটি আদালত লাইকে বিদেশি শক্তির সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেন। এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লি। তিনি বলেন, লাইয়ের কর্মকাণ্ড ‘দেশের স্বার্থ এবং হংকংবাসীর কল্যাণের ক্ষতি করেছে।’
তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই রায়কে ‘নিষ্ঠুর বিচারিক প্রহসন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। তবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লাইয়ের বিচার নিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছে। সোমবার এক বিবৃতিতে তারা এসব অভিযোগকে ‘হংকংয়ের বিচার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নির্লজ্জ অপবাদ ও কুৎসা’ বলে মন্তব্য করেছে।