আমাদের অর্থনীতি অনেক সম্ভাবনাময়। ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে।
শূন্য থেকে শুরু করা প্রাণ-আরএফএল এখন দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। দেশের বাইরেও প্রাণ-আরএফএলের বাজার বাড়ছে এবং ১৪৫টির বেশি দেশে রপ্তানি করছে। এ থেকে বোঝা যায়, আমরা পিছিয়ে নেই।
আমি বলব, দেশে এখনো আমাদের ব্যবসা ভালো যাচ্ছে। আগামী দিনে আরো ভালো ব্যবসা হবে। ক্ষমতার পালাবদলে অর্থনীতি সাময়িক কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে, যা স্বাভাবিক।
তবে এখন যাঁরা এসেছেন তাঁরা ক্রমেই পরিস্থিতি ভালো করার চেষ্টা করছেন। আর্থিক খাতে আমরা ভালো কয়েকজনকে পেয়েছি। আমরা ভালো গভর্নর পেয়েছি। উপদেষ্টা অনেক অভিজ্ঞ। বেশ কিছু ভালো পদক্ষেপ আসছে, যা অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি। যদিও শুরুর দিকে শ্রমিক ইস্যুতে ব্যবসায়ীদের বেশ কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। এই পরিস্থিতি এখন অনেক ইতিবাচক।
নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাড়তি চাপ তৈরি করেছে ঋণের সুদহার। সম্প্রতি নীতি সুদহার আরো বাড়ানো হয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এটি করা হয়েছে। তবে নীতি সুদহার বাড়ানোর কারণে ধারাবাহিকভাবে ঋণের সুদহার বাড়ছে। উচ্চ সুদহার বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর ক্ষেত্রে একটি অন্তরায়। আমরা আশা করব, এটা কোনোভাবেই যেন দীর্ঘমেয়াদি না হয়।
আমরা মনে করি আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে জিরো টলারেন্সে যেতে হবে। তবেই ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগে আস্থা পাবেন। এ ছাড়া দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ থাকলে দেশের বাইরের বিনিয়োগকারী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে ভুল মেসেজ যাবে বা যাচ্ছে। তাই অবিলম্বে সেই পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, আগামী দিনে বাইরের অনেক বিনিয়োগ আমাদের দেশে আশার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তাই দেশে স্থীতিশীলতা আনা খুব জরুরি। এ ক্ষেত্রে দেশে স্থিতিশীলতার জন্য নির্বাচিত সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা যত সেদিকে ধাবিত হব, তত দেশের জন্য মঙ্গলজনক।
লেখক: চেয়ারম্যান ও সিইও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ